প্রতিবেদন : আইনশৃঙ্খলার বালাই নেই। ফের চরম নৃশংসতার সাক্ষী হল বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। এবার পরকীয়া সন্দেহে নিজের বউয়ের মুণ্ডচ্ছেদ করে প্রমাণ লোপাটের জন্য আঙুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী ও নিজের ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের সংবাদ শিরোনামে উঠে এল ডবল ইঞ্জিনের যোগীরাজ্য। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বান্দা জেলার এই ঘটনা সামনে আসতেই শিউরে উঠছে গোটা দেশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদেহ থেকে কিছুটা দূরেই পড়েছিল তাঁর কাটামুণ্ডু। পাশাপাশি বছর চল্লিশের মহিলাকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তবে শুধু মহিলাকে খুন করেই ক্ষান্ত হননি অভিযুক্তরা। পুলিশ যাতে কোনওভাবেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট খুঁজে না পায়, তার জন্য মহিলার হাতের চারটি আঙুল কেটে উড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকী, মহিলার পরিচয় লুকোতে কেটে দেওয়া হয় মাথার চুল, উপড়ে ফেলা হয় তাঁর দাঁতও। তবে এতকিছু করেও লাভ হয়নি। ইতিমধ্যে, নির্যাতিতার পরিচয় জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম মায়া দেবী। তিনি মধ্যপ্রদেশের ছাতারপুরের বাসিন্দা রামকুমার আহিওয়ারের স্ত্রী। প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিশের অনুমান, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত মায়া দেবীর পরিবারের সদস্যরাই। প্রথমে অস্বীকার করলেও পুলিশি জেরায় শেষমেশ নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছেন রামকুমার, তাঁর দুই ছেলে সূরজপ্রকাশ ও ব্রিজেশ এবং আত্মীয় উদয়ভান।
আরও পড়ুন-রায়পুরে ১৪ বছরের ছেলের নাবালিকা প্রতিবেশীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার
হত্যার অজুহাত খাড়া করতে গিয়ে মৃত মহিলার উপর দোষ চাপিয়েছেন স্বামী ও অন্যরা। রামকুমারের অভিযোগ, মায়া দেবী ছিলেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। দিনকয়েক আগেই তাঁর সন্দেহ হয়, এক ছেলের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মায়া। অন্য ছেলের সঙ্গেও একই চেষ্টা শুরু করেছিলেন। সেই সন্দেহের বশেই নিজের স্ত্রীকে খুন বলে কবুল করেছেন অভিযুক্ত স্বামী রামকুমার। অভিযোগ, কুড়ুল দিয়ে মুণ্ডু উড়িয়ে দেওয়া হয় মায়া দেবীর। এরপরই প্রমাণ লোপাটের কারণে চারটে আঙুল কেটে দেওয়া হয় তাঁর। ইতিমধ্যে ওই কুড়ুল এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। স্বামী, পুত্র-সহ অভিযুক্ত মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।