উত্তর গুজরাটের (Gujrat) আরাবল্লিতে, রামপারি গ্রামে ৪৫ বছরের এক মহিলাকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে মানসিক নির্যাতন ও তারপর গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল। তাঁর এক আত্মীয়ের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে বলেই খবর। মঙ্গলবার রাত ২.৩০ নাগাদ এই ঘটনা ঘটার পর ভিলোদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নিহত মহিলা ঊর্মিলা তাবিয়ারের স্বামী দিলীপ। তিনি তাঁর লিখিত অভিযোগে এক আত্মীয় রাজেন্দ্র তাবিয়ার ওরফে রাজেশকে অভিযুক্ত হিসেবে জানান।
আরও পড়ুন-রিঙ্কু-নীতিশে সিরিজ জয়
মহিলার স্বামী জানান রাজেশ এবং তার স্ত্রী কমলা তাঁদের প্রতিবেশী। কয়েক মাস ধরে ঊর্মিলাকে ক্রমাগত ‘ডাইনি’ অপবাদ দিয়ে মানসিক নির্যাতন করছিল তারা। ঊর্মিলাকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। দিলীপ আমেদাবাদে থাকেন এবং একটি প্রাইভেট স্কুলের বাস চালান। ২৭শে সেপ্টেম্বর বাড়ি এসেছিলেন তিনিতবে এবিসি দিনের জন্য নয়। ৩০ সেপ্টেম্বর আমেদাবাদে ফিরে যান। কিন্তু এর মাঝেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। মঙ্গলবার মধ্যরাতে এক বন্ধুর ফোন পেয়ে দিলীপ জানতে পারে স্ত্রী অসুস্থ এবং তাঁকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভিলোদার হাসপাতালে আসতে বলা হয়। হাসপাতালে পৌঁছে দিলীপ ঊর্মিলার নিথর দেহ দেখতে পান। ছেলে তাঁকে জানান রাত আড়াইটে নাগাদ বিস্ফোরণের মতো শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তাঁদের। ঊর্মিলার ঘরে এসে দেখেন, রাজেশ ঊর্মিলার দিকে বন্দুক তাক করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। একবার গুলি চালিয়েছে সে। সকলে ওখানে পৌঁছলে মৃত্যু নিশ্চিত করতেই ঊর্মিলার কোমরের নীচে গুলি করে রাজেশ পালিয়ে যায়। সকলের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। ঊর্মিলাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন-লঙ্কা-জয়ে স্মৃতিরা দৌড়েই
পারিবারিক সূত্রে খবর, বেশ কয়েক মাস ধরে চলছে ঊর্মিলার উপর মানসিক অত্যাচার। রাজেশ এবং কমলার বিরুদ্ধে ঊর্মিলা পুলিশে হেনস্থার অভিযোগও করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই ঘটনার ফলে স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের ওপর অভিযোগ আনছে এলাকার মানুষ। খোদ মোদীরাজ্যেই এবার পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।