৮৬-র পঞ্চায়েত সদস্যা, থাকা চাই সব কর্মসূচিতে

দলে আনুগত্যের পুরস্কার হিসেবে ১ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে সংবর্ধনা দেওয়ার হয় অশীতিপর বেলা চৌধুরিকে।

Must read

সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়া: তৃণমূল কংগ্রেস অন্ত প্রাণ। দীর্ঘ যাত্রা পেরিয়ে এসেও আজও তিনি দলের প্রতি নিবেদিত প্রাণ। মাকড়দহের তিনবারের পঞ্চায়েত সদস্য ৮৬ বছরের বেলা চৌধুরির এখনও যাওয়া চাই দলের সব কর্মসূচিতে। তৃণমূলের কোনও কর্মসূচি থাকলেই সবার আগে হাজির তিনি। তাঁর এই আনুগত্যের পুরস্কারস্বরূপ দলের থেকে সম্মানিত হয়ে আপ্লুত বেলাদেবী। সেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠার দিন থেকেই দলের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হাওড়ার প্রত্যন্ত গ্রামের এই মহিলা কর্মী। আজ ৮৬ বছরে এসেও তার অন্যথা হয়নি কোনওদিন। হাওড়ার মাকড়দহ-১ নম্বর পঞ্চায়েতের চৌধুরিপাড়ার বাসিন্দা বেলাদেবী সংসার সামলে, ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে দলের কর্মসূচিতে ছুটে যান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশ কিংবা একুশে জুলাইয়ের ধর্মতলার সমাবেশ, কোনও কিছুই বাদ নেই তাঁর। মাকড়দহ-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে দু’বার এবং জগৎবল্লভপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হিসেবে একবার নিযুক্ত হয়েছিলেন। শুধু জনসভা বা মিছিলে নয়, দলের প্রচারে কর্মীদের সঙ্গে দেওয়াল লিখনেও শামিল হন তিনি। বাম জমানাতেও তৃণমূলের পতাকা হাতে মানুষের দাবি আদায়ে তাঁকে দেখা যেত সামনের সারিতে। তৃণমূলের প্রতি আনুগত্যে কোনওদিন বাদ সাধেনি তাঁর পরিবার। বরং তাঁকে উৎসাহ দিয়েছে।

আরও পড়ুন-পূর্ব মেদিনীপুরে জোড়া সমবায়ে জয় তৃণমূলের

দলে আনুগত্যের পুরস্কার হিসেবে ১ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে সংবর্ধনা দেওয়ার হয় অশীতিপর বেলা চৌধুরিকে। তাঁর হাতে স্মারক ও মানপত্র তুলে দেন বিধায়ক সীতানাথ ঘোষ। এই সম্মান পেয়ে আপ্লুত বেলাদেবী জানালেন, মানুষের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ সারা দেশে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমরা প্রথম দিন থেকে দিদির সঙ্গে আছি। তাঁর সঙ্গে অনেক মিটিং-মিছিলে হেঁটেছি। আজ সেইসব কথা ভীষণ মনে পড়ে। আমার বিশ্বাস, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও ভুল করতে পারেন না। এই বিশ্বাস নিয়েই থাকব জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। এখনও তিনি দলের হয়ে প্রচারে যান। সব কর্মসূচিতেই যোগ দেন। আজ তাঁর স্বামী ও দুই ছেলে নেই। পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে সংসার। ভাইপো-বউ এখন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে নস্টালজিক বেলাদেবী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের প্রশংসা হলে আমি খুব আনন্দ পাই। বিধায়ক সীতানাথ ঘোষের কথায়, বেলা চৌধুরির মতো মানুষেরা আমাদের দলের সম্পদ। তাঁকে সম্মানিত করতে পেরে আমরা গর্বিত। তাঁর জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।

Latest article