ডাবল ইঞ্জিন সরকারে শিক্ষক সমাজের নেই ন্যূনতম যোগ্য সম্মান। সেই নিদর্শন আগেও দেখা গিয়েছে| এবার ভাইরাল হল আরেকটি ভিডিও। প্রয়াগরাজের (Prayagraj) বিশপ জনসন গার্লস স্কুলের প্রিন্সিপালকে রীতিমত জোর করে টেনে হিঁচড়ে চেয়ার থেকে তুলে নতুন প্রিন্সিপালকে বসানো হল। ইতিমধ্যেই ২ মিনিট ২০ সেকেন্ডের ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ভিডিয়োয় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, স্কুলের চেয়ারম্যান সহ একদল লোকজন স্কুলের প্রিন্সিপালের ঘরে ঢোকেন। ঘরে ঢুকেই প্রিন্সিপালের সঙ্গে একপ্রকার বচসার মুহূর্ত তৈরী হয়। প্রতিবাদ করায় প্রথমে বর্তমান প্রিন্সিপালের ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। শুধু তাই নয়, তাঁর হাত ধরে টেনে চেয়ার থেকে তোলার চেষ্টা করা হয়। প্রিন্সিপাল চেয়ার ছাড়তে রাজি না হওয়ায় চেয়ার সহ প্রিন্সিপালকে ঘরের বাইরে বের করে দেওয়া হয়। দেখা যায় সেই চেয়ারে বসানো হয় নতুন প্রিন্সিপালকে। বিশপ মরিস এডগার ড্যানের সমর্থকরা পুরনো প্রিন্সিপালকে সরিয়ে তাঁর পরিবর্তে শার্লি মাসিহকে নতুন প্রিন্সিপাল হিসেবে নিয়োগ করেছে।
আরও পড়ুন-বিপর্যয় উত্তরে: সিকিমে ভূমিকম্প, অতিবৃষ্টিতে ধস পাহাড়ে
উল্লেখ্য, স্কুলটি লখনউয়ের ডায়োসিসের তত্ত্বাবধানে চলে। জানা যায়, এদিন বিশপ মরিস এডগার ড্যানের সমর্থকরা একজন আইনজীবীর সঙ্গে প্রিন্সিপালের ঘরে ঢোকে এবং বর্তমান প্রিন্সিপাল পারুল সলোমনকে একপ্রকার জোর করে চেয়ার থেকে তোলার চেষ্টা করে। নতুন প্রিন্সিপালকে দায়িত্বে আনার জন্য এমন নিন্দনীয় একটি ঘটনা ঘটানো হয় বলেই খবর। এই ঘটনার ওপর ভিত্তি করে প্রিন্সিপাল পারুল সলোমন কর্ণেলগঞ্জ থানায় বিফস মরিশ এডগার ড্যান সহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, ভয় দেখানো এবং অসৎ আচরণের অভিযোগ দায়ের করেন। স্বাভাবিকভাবেই এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরের বিশপ জনসন গার্লস স্কুলের প্রশাসন ও শিক্ষা কর্মীদের নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের তরফে যদিও এই নিয়ে কোন কিছু জানোজানানো হয় নি।