রাজস্থানের (Rajasthan) জয়পুরের শাস্ত্রীনগর এলাকা থেকে প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার দেহ। মঙ্গলবার কম্বলে মোড়া ওই দেহ উদ্ধার হয়েছে। মহিলার বয়স আনুমানিক ৫০ বছর যদিও তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, অজ্ঞাতপরিচয় ওই মহিলার মুখে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশের সন্দেহ, মহিলাকে খুন করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-ড্রোনের সাহায্যে হেরোইন পাচারের নয়া পদ্ধতি পঞ্জাবে
শাস্ত্রীনগরের পুরুষোত্তম পার্কের কাছে সুভাষ কলোনির একটি চার তলা বাড়ি থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। বাড়িটিতে একাধিক পরিবার ভাড়ায় থাকে। বাড়ির বর্তমান মালিক ওই প্লাস্টিকের বস্তা প্রথম দেখতে পান। তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন যে ওই বস্তা কোনও ভাড়াটিয়ার তবে পরে জানা যায় ওটা কারোর নয়। প্রয়াত ঠিকাদার সুরজ প্রকাশ সানওয়ারিয়ার এই বাড়িটির নীচের তলায় থাকেন তাঁর বিধবা স্ত্রী মুন্না দেবী। বাড়ির উপরের তলাগুলি আরও দুটি পরিবারকে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন-বর্ণাঢ্য সূচনা ঝাড়গ্রাম উৎসবের
এই ঘটনা প্রসঙ্গে জয়পুরের অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বজরং সিং জানিয়েছেন, সেই বস্তাগুলি কেউই নিজের না বলার পরেই সন্দেহ হয় বাড়ির মালিকের। পুলিশকে জানানো হয়। বস্তা খোলার পরেই দুর্গন্ধ বেরোয় এবং মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। দেখা যায় মহিলার দেহ দু’টি প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে রাখা ছিল। দুর্গন্ধ আটকাতে দেহ প্লাস্টিকে ঢোকানোর আগে কম্বল দিয়ে জড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে ফরেন্সিক দল নমুনা সংগ্রহও করেছে। ডগ স্কোয়াডের সাহায্য নিয়ে স্থানীয় এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-বিদ্বেষের বিষে ভরা বিজেপির ধর্মের নামে বজ্জাতি
পুলিশ সূত্রে খবর,মহিলার দেহ বেশ কিছুটা টেনে নিয়ে বস্তায় ভরে ওই বাড়িতে ফেলে রেখে যাওয়া হয়। কিন্তু ঠিক কী কারণে দেহটি সেখানে ফেলা হয়েছিল সেটা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এমনকি খুনের আগে ধর্ষণ হয়েছে কিনা সেই বিষয়টিও জানার চেষ্টা চলছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল এদিকে কেউই কিছু জানতে পারল না? রাতের টহলদারি পুলিশের নজর কি করে এড়াল অভিযুক্ত? তবে কি এখানে আরও একবার পুলিশি গাফিলতি স্পষ্ট?