ব্যুরো রিপোর্ট : আচ্ছে দিনের নাম মোদি সরকারের একের পর এক বঞ্চনা। ১০০ দিনের টাকা নেই, একের পর এক দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। এসবের বিরুদ্ধে এবার উত্তরজুড়ে ধরনায় বসলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা কর্মীরা। মঙ্গলবার জলাপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার-সহ প্রতিটি জেলায় কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে পোস্টার হাতে ধরনায় বসেন মহিলারা। কোচবিহারে ব্রাহ্মমন্দিরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা৷
আরও পড়ুন-চাকরির নামে ধর্ষণ, বিজেপি নেতার কুকীর্তি ফাঁস
কোচবিহারের মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী সুচিস্মিতা দেবশর্মার নেতৃত্বে মহিলা কর্মীরা অবস্থান করেন। ইসলামপুরেও হয় বিক্ষোভ কর্মসূচি ও ধরনা। ইসলামপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত অবস্থান করেন। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী চৈতালি ঘোষ সাহা। এদিন ধরনা প্রদর্শনের পাশাপাশি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদ করেন উপস্থিত নেতা-কর্মীরা। সভানেত্রী ছাড়াও সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। সভানেত্রী বলেন, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস মহিলা সংগঠনের নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নির্দেশে এই ধরনা প্রদর্শন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আলিপুরদুয়ারে জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস গর্জে ওঠে বঞ্চনার বিরুদ্ধে। ম্যাকউইলিয়াম স্কুলের পাশে ধরনা ও অবস্থান হয়।
আরও পড়ুন-ট্যুইটার বন্ধের হুমকি দেয় মোদি সরকার
গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে এই ধরনায় শামিল হয়েছেন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। রাজ্য জুড়ে এই কর্মসূচি চলছে। জেলা তৃণমূল সভানেত্রী দীপিকা রায় জানান, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের মানুষকে ভাতে মারতে চাইছে, আমরা আমাদের রাজ্যের ন্যায্য পাওনার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাব। জলপাইগুড়িতেও কেন্দ্র সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন মহিলা তৃণমূলের সদস্যরা। ছিলেন জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী নুরজাহান বেগম, তৃণমূল নেত্রী সুনীতি সরকার, পুরসভার চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল সহ অন্যরা।