তেজপাতার উত্থানে নারীরা
সুস্বাদু আর মশলাদার রান্নায় তাকে একফোঁটা ছাড়া চলে না। ফ্রান্স থেকে ফিলিপিন, গ্রিস থেকে ঘানা, স্যুপ থেকে স্ট্যু, বিরিয়ানি থেকে রোস্ট, চিংড়ি থেকে কাঁকড়া, পোলাও থেকে পায়েস তার অবাধ বিচরণ। সে তেজি হলেও তীক্ষ্ণ নয়। রান্নাঘরে মা কাকিমা, জেঠিমা থেকে সাহেবসুবো— সব্বার খুব দরকারি। পৃথিবীর তাবড় শেফ থেকে সাধারণ সাদামাঠা গৃহবধূ সবার স্বাদের আহ্লাদের তেজপাতা।
চিঁড়েচ্যাপ্টা ফুরফুরে তেজপাতার তেজেই মুগ্ধ এই বিশ্বভুবন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন তেজপাতার ধোঁয়া নাকে ঢুকলে কয়েকটি হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই হরমোনেরা মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। ফলে রান্নার ফোড়নে তেজপাতা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার সুফল পাওয়া যায়। রক্তচাপে, হৃদরোগে সবেতেই তেজপাতার দর। এহেন তেজপাতার এক সময় গ্রামেগঞ্জে রান্নাঘরের আশপাশে জায়গা হত।
পথচলতে দু’মুঠো তুলে ফেলত মেয়ে-বউরা। কেউ আপত্তি করতেন না। প্রাচীন গ্রিসদেশে বিজয়ী ক্রীড়াবিদদের মুকুটে পরানো হত তেজপাতা। এখন সেই তেজপাতাই পশ্চিমবঙ্গে মহিলা কৃষকদের মাথার মুকুট। এই ফসলটির ক্ষেত্রে মহিলাদের অবাধ বিচরণ।
কিন্তু জানেন কি ২০ বছর আগেও পশ্চিমবঙ্গে তেজপাতার চাষ হত না? তেজপাতা আসত পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থেকে। আজ সেই তেজপাতা ব্যবসায়ী এবং কৃষক সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা এখন তেজপাতা চাষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করছে। যার ফলে পশ্চিমবঙ্গে তেজপাতা চাষের রাজস্ব আয় হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। যার নেপথ্যে মহিলাদের পাশে রয়েছেন একজন পুরুষও।
২০০৭ সালে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক সুকুমার বর্মন ঠিক করলেন ধান, গম এবং সরষের মতো অন্যান্য প্রচলিত ফসল চাষের পরিবর্তে তেজপাতার চাষ শুরু করবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। শুরু করলেন তেজপাতার চাষ। তেজপাতা সাধারণত দোঁআশ বা বালিযুক্ত মাটিতে ভাল হয় আর এতে প্রচুর রোদ লাগে। আসলে তেজপাতা গাছ দেখতে সাদাসিধে মনে হতে পারে, কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে ফলপ্রসূ। ১০ ফুট লম্বা একটি গাছ সাত থেকে আট কেজি পাতা উৎপাদন করতে পারে। মাটির গুণমান এবং শুষ্ক আবহাওয়া পাতার আকার কেমন হবে তা নির্ধারণ করে। সাধারণত পুরু, তন্তুযুক্ত, চকচকে, প্রায় ১.৫-২ ইঞ্চি প্রস্থ এবং ৫-৮ ইঞ্চি লম্বা হয় তেজপাতা। আর রং তার জলপাই সবুজ, গাঢ় সবুজ এবং কখনও হালকা বাদামি।
প্রতি ছয় থেকে আট মাস অন্তর এই ফসলটি কাটা হয়। এমনকী কিছু ক্ষেত্রে বছরে দু’বারও কাটা হয়। পাতা ছিঁড়ে ফেলার পর, তিন থেকে চারটি খুব রৌদ্রোজ্জ্বল দিন ধরে রেখে দেওয়া হয় পাতা শুকানোর জন্য কিন্তু বর্ষাকালে আসে সমস্যা। কিন্তু সেই সব বাধা, বিপত্তি, সমস্যা দূরে সরিয়ে নিজের সিদ্ধান্তে সফল হন সুকুমার বর্মন। তেজপাতার ফলন শুরু হয়। আজ তিনি তাঁর ৬৫০টি গাছ থেকে বছরে ৮০-৯০ কুইন্টাল তেজপাতা সংগ্রহ করেন এবং প্রতি তিন বছরে ৫ লক্ষ টাকা আয়ও করেন। আর এই গোটা কর্মকাণ্ড তিনি একা করেননি সঙ্গে ছিল সেখানকার কৃষক মহিলারা।
আরও পড়ুন-বাংলার উপকূলীয় দুর্যোগ নিয়ে টোকিওতে কেইও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের সঙ্গে আলোচনায় অভিষেক
আশ্চর্যে বিষয় যে উত্তর দিনাজপুরে তেজপাতা চাষাবাদ আজ প্রায় ৪০০ কোটি টাকার এক সমৃদ্ধশালী শিল্প। তেজপাতা চাষ এবং তেজপাতার মাধ্যমে এখানে এসেছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ঢেউ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটা তা হল তার এই সাফল্যের গল্পে মহিলারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এরপরেই তেজপাতার ব্যবসা বাড়বাড়ন্ত হতে থাকে এবং উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জ এবং ইসলামপুর ব্লক এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমুন্ডির অনেক কৃষক তেজপাতা চাষে উৎসাহিত হন। প্রায় ৮০% কৃষক তেজপাতার চাষ করেন এবং সেগুলো সংগ্রহ করেন এবং পাশাপাশি প্রায় ৬৪% মহিলা ডাল থেকে পাতা আলাদা করতে এবং শুকানোর কাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। সেখানকার মহিলারা এক একজন সুগৃহিণী হবার পরেও এই কাজের দক্ষ কর্মী হিসাবে নিজেদের পরিচিতি তুলে ধরেছেন। অর্থাৎ তেজপাতা চাষের দ্বিতীয় পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় তেজপাতা বাছাই এবং শুকানোর সঙ্গেই বহু সংখ্যক কৃষক মহিলা জড়িত। তাঁদের সেরা মানের কাজের ওপর নির্ভর করেই সেরা মানের তেজপাতা বাজারে মিলছে। মহিলা কৃষকেরা তাঁদের সংসারের প্রয়োজনেই এই কাজে আসছেন। পরিবারকে সাহায্য করতে এবং অতিরিক্ত আয়ের উৎস হিসেবে তেজপাতা ফলানো এবং বাছাইয়ের কাজ তাঁরা বেছে নিয়েছেন। এর জন্য রোজ বেতনও পান তাঁরা। এই প্রসঙ্গে বলা যায় ওই এলাকারই বছর তিরিশের মহিলা আলো রায়ের কথা। আলো গর্বের সঙ্গে স্বাধীনভাবে কাজটি করছেন প্রায় তিনবছরেরও বেশি সময় ধরে। তেজপাতার ডাল থেকে পাতা বাছাই করে তুলে আনার কাজে যথেষ্ট দক্ষ আলো। সেই পাতা বিক্রি করার ঠিক আগের পর্যায় পর্যন্ত প্রস্তুত করার দক্ষতাও সে অর্জন করেছে।
এই কাজে আলোর কেটে যায় দিনের মধ্যে আট থেকে নয় ঘণ্টা। প্রায় সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত কাজ করে আলো। প্রথম পাতা সংগ্রহ করে এবং যত্ন সহকারে ডালপালা থেকে প্রতিটি পাতা তুলে ফেলে। এই কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করতে একজন দক্ষ কারিগর জরুরি। আলো ইতিমধ্যেই সেই দক্ষ কারিগর হয়ে উঠেছেন। রোজ কমপক্ষে ৪০-৫০ কেজি পাতা আলাদা করতে পারেন। এতে তাঁর আয়ও মন্দ নয়। আলোর কথায়, তেজপাতা বাছাই করার জন্য প্রতি-কেজি ৩ টাকা আয় করি এবং যখন কাটার কাজ আসে, তখন আমি প্রতি-কেজি ৪.৫০ টাকা আয় করি। শুধু আলো নন, রয়েছেন আলোর মতোই আরও অনেকেই।
গ্রামের জন্য তেজপাতা চাষ এবং মহিলাদের সেই চাষে বিপুল পরিমাণে অংশগ্রহণের আসল মানুষটি হলেন কৃষক সুকুমার বর্মন। তাঁর এই উদ্যোগ উত্তর দিনাজপুর-সহ আশপাশের এলাকায় তেজপাতার মাধ্যমে প্রকৃত অর্থনৈতিক উন্নয়ন এনেছেন। কারণ, এটা শুধু মশলা সম্পর্কে নয়। গাছের ডালপালা গুঁড়ো করা হয়, এর পাতা প্রাকৃতিক রঙ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এটি ভারত জুড়ে রান্নাঘরে একটি প্রধান মশলা যা নিরামিষ এবং আমিষ উভয় খাবারের স্বাদ বাড়ায়।
তিন ধরনের তেজপাতা পাওয়া যায় — বেঙ্গল, বেঙ্গালুরু এবং শিলং। এখানে বেঙ্গালুরু জাতের তেজপাতা নিয়ে তিনি এবং তাঁর মহিলা ও পুরুষদল কাজ করছেন। কারণ বেঙ্গালুরু জাত বেশি পাতা দেয়। এই পাতার ঝাড়াই আর শুকানোয় মহিলাদের সঙ্গে পরিবারের অন্য সদস্যরাও হাত লাগায়।
কিন্তু কী করে এটা সম্ভব হল? আসলে উপযুক্ত পরিবেশ পেলে সবকিছুই সম্ভব। ঠিক সেই কারণেই শক্ত, লম্বা এবং চিরসবুজ তেজপাতা এই অঞ্চলের জন্যই আদর্শ। একবার রোপণ করলে এগুলি পরিপক্ব হতে দুই থেকে তিন বছর সময় নেয়। কিন্তু এর ফল দীর্ঘস্থায়ী। একটি গাছ প্রতি বছর ১৫ থেকে ২০ কেজি পাতা দিতে পারে। পরবর্তী ২৫ বছর ধরে যা সেখানকার নারী-পুরুষের গর্ব।
এখানকার কৃষকেরা তাঁদের তেজপাতার বাগান তিন বছরের জন্য ব্যবসায়ীদের কাছে লিজ দেয়। বিনিময়ে এই ব্যবসায়ীরা সবকিছুই পরিচালনা করে— শ্রমিক নিয়োগ করা এবং গাছের রক্ষণাবেক্ষণ থেকে শুরু করে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ, ফসল কাটা, প্যাকেজিং এবং এমনকী পরিবহণ পর্যন্ত। সেই কাছে ওতপ্রোতভাবে জড়িত মহিলারা। ফলে বিশেষ করে মহিলা কৃষকদের জন্য এই ব্যবসা আয়ের নিরাপদ উৎস।
মহিলা কৃষকদের সক্রিয় অংশগ্রহণে সামগ্রিক এই কর্মসূচিতে জেলায় তেজপাতার উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সাল থেকে তেজপাতার উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২০ সালে ২৪০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছিল, যা গত বছর চাষের জমিতে বেড়ে ৩১৮ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে ২০২০ সালে ৭৬৯ মেট্রিক টন তেজপাতার উৎপাদন থেকে, ২০২৪-’২৫ সালে উৎপাদন বেড়ে ১০১৯ মেট্রিক টন হয়েছে। অনুমান করা যায় যে প্রায় ১০,০০০ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তেজপাতা চাষ এবং মৌলিক প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে জড়িত।
উত্তর দিনাজপুরের জেলা উদ্যানপালন কর্মকর্তা এবং উদ্যানপালন বিভাগের সহকারী পরিচালক সন্দীপ মহন্ত বলেন, ‘উত্তর দিনাজপুরের সবচেয়ে সফল এলাকাটি হল হেমতাবাদ ব্লক যা এখন বাংলার তেজপাতা জাতের শীর্ষ উৎপাদনকারী হিসেবে স্বীকৃত।’
আসলে মেয়েদের মধ্যে এই ফসলটির জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ হল এর স্থিতিস্থাপকতা। একটি তেজপাতা গাছের জন্য কম জল এবং কম রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয় যা এই অঞ্চলের নারী এবং পুরুষ কৃষকের জন্য দারুণ বিকল্প হয়ে উঠেছে।
আলু চাষে স্বাবলম্বী
বছরের পর বছর ঋণজালে জর্জরিত হয়ে হুগলির দুই মাঝবয়সি মহিলা শুরু করেন কৃষিকাজ এবং এখন গ্রামীণ এলাকার অন্যান্য মহিলাদের তাঁরা অনুপ্রাণিত করে চলেছেন। কৃষক হিসেবে নিজের পরিচয় তৈরি করে ফেলেছেন। পশ্চিমবঙ্গের মোলায়পুর গ্রামের বাসিন্দা শামিমা বেগম সম্প্রতি একটি নামী ভারতীয় সংস্থার কাছে ১২ টন আলু বিক্রি করে নিজের স্বামীর লোন পরিশোধ করেছেন। উচ্চমাধ্যমিক পাশ শামিমা, ১৮ বছর বয়সে বিয়ের পর থেকেই স্বামীকে কৃষিকাজে সাহায্য করতেন যেমন আগাছা সরানো, পোকামাকড় তাড়ানো। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি মোকাবিলা করা বা বীজবপন এবং জমি চাষ করার মতো শারীরিক শক্তি তার ছিল না। কিন্তু আলু চাষে অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে তাঁর স্বামী। তখন ঋণমুক্ত হতে স্বাধীন কৃষিকাজে নামেন শামিমা। আজ শামিমা অর্থ উপার্জন করে ঋণ পরিশোধ করেছেন, বাড়িতে রান্নার গ্যাস থেকে শুরু করে ফ্রিজ ইত্যাদি গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও কিনেছেন এবং তাঁর মেয়ের চিকিৎসার জন্য কিছু টাকা আলাদা করে রেখেছেন। শামিমার মতোই আরও এক মহিলা কৃষক মালতী যার গল্পও একই রকম। হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সি মালতী গত দুই দশক ধরে তাঁদের ০.৮ একর জমিতে সক্রিয়ভাবে তাঁর স্বামীকে কৃষিকাজে সাহায্য করে আসছেন। হাজার যুদ্ধ করেও, ঋণভারে জর্জরিত থেকেও কৃষিকাজের প্রতি তাঁর ভালবাসা এতটুকু কমেনি। এরপর একটা সময় তিনি নিজেও স্বাধীনভাবে আলু চাষ শুরু করেন। উপার্জিত অর্থ দিয়ে, সেচ প্রক্রিয়া উন্নত করার জন্য তিনি একটি শৌচাগার নির্মাণ করেন এবং একটি নলকূপ স্থাপন করেন। একটি ভারতীয় এবং মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কোলাবরেশনে গত বছর কৃষিক্ষেত্রে নারী ক্ষমতায়ন এবং সুস্থির খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে বৃহৎ কর্মসূচির মাধ্যমে ৫০০ জন মহিলাকে আলু উৎপাদনে প্রশিক্ষণ দেয়। এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছিল তাঁরা। প্রশিক্ষণ নিয়ে সরাসরি এই কৃষি কাজে নিযুক্ত হন তাঁরা। শামিমা আজ কৃষিকাজে দক্ষ।
পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অন্যতম বৃহৎ আলুর উৎপাদনকারী রাজ্য, হুগলিতে প্রচুর পরিমাণে আলু চাষ হয়। তবে, এই অঞ্চলটি দামের ওঠানামা, অকাল বৃষ্টিপাত এবং উচ্চ কৃষি খরচের কারণে জর্জরিত। এর ফলে কৃষকেরা প্রায়শই ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হন। মহিলাদের জন্য প্রশিক্ষণ, তাঁদের এই কর্মকাণ্ড আশপাশের প্রতিটি কৃষক পরিবারের মহিলাদের উৎসাহিত করেছে। এগিয়ে আসছেন মেয়েরা।
কৃষিকাজকে মূলত পুরুষ-শাসিত পেশা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, বিশেষ করে কারণ এর জন্য শারীরিক সহনশীলতার প্রয়োজন হয়। যা একজন মহিলার পক্ষে প্রায় অসম্ভব এই দুই মহিলা সেই মিথ ভেঙে সৃষ্টি করেছেন উদাহরণ।