দুলাল সিংহ, বালুরঘাট : জমিদারবাড়ির পুজো বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল একসময়ে। পুজোর উদ্যোগ নেওয়ার মতো সে অর্থে কেউই আর তখন ছিলেন না জমিদারবাড়িতে। অগত্যা এগিয়ে আসেন এলাকার মহিলারাই। এতদিনের ঐতিহ্যে হঠাৎই ছেদ পড়বে, তা কখনও হয়! মহিলাদের আন্তরিকতাতেই আবার প্রাণ ফিরে পায় জমিদারবাড়ির পুজো। তবে তখন থেকেই সেই পুজো রূপ নেয় সর্বজনীনের। এবছর পুজোর বাজেট ৪ লক্ষ টাকা। থিম, পুরুলিয়ার ছৌনৃত্য। মণ্ডপের আদলও সেইরকমই।
আরও পড়ুন-কলকাতায় ১২ দেশের প্রতিনিধিরা, শহরের পুজো দেখা শুরু করলেন বিদেশি অতিথিরা
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছেই জানা গেল, প্রায় ১৫০ বছর আগে বালুরঘাটের কাঁঠালপাড়া এলাকার জমিদার দীননাথ চৌধুরী বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু করেন। সময়ের হাত ধরে জমিদারবাড়ির পুজোর আড়ম্বর ক্রমশই বাড়তে থাকে। দূরদূরান্তের মানুষ একাত্ম হয়ে পড়েন পুজোর আয়োজনে। কিন্তু ছন্দপতন ঘটে আচমকাই। জমিদার বংশের অনেকেরই মৃত্যু ঘটে একে একে। পুজোর হাল কে ধরবে সংশয় দেখা দেয় তা নিয়ে। পরবর্তী প্রজন্মের অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। এইসময়ই এগিয়ে আসেন পাড়ার মহিলারা। সেই থেকেই পুজোর যাবতীয় আয়োজনের দায়িত্বে মূলত মহিলারাই। পাড়ার লোকেরা নিজেরাই চাঁদা দিয়ে এই পুজোর আয়োজন করে থাকেন। উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম শ্রীনাথ দাঁ জানিয়েছেন, এ বছরে দুর্গোৎসবের বাজেট প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। পুরুলিয়ার বিখ্যাত ছৌ-সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটবে এবারের মণ্ডপসজ্জায়।