যাদবপুরকাণ্ডে মনোজ ভর্মাকে চিঠি মহিলা কমিশনের, স্বতপ্রণোদিত মামলা দায়ের

বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় চার নম্বর গেট লাগোয়া ঝিল পাড়ে হঠাৎ করেই একটা দেহ ভেসে উঠতে দেখেন পড়ুয়ারা।

Must read

বারংবার সিসিটিভি বসানোর কথা বলা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে চূড়ান্ত গাফিলতির নজির পাওয়া গিয়েছে বহুবার। পর পর দুটি ঘটনা বুঝিয়ে দিয়েছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজ্যের অক্লান্ত প্রচেষ্টা থাকলেও প্রতিবার বাধার সৃষ্টি করেছে খোদ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে এবারেও ঘটনার পর তৎপরতার সঙ্গে সমস্ত দায়িত্ব নির্ভিঘ্নে সামলে নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু এরপরেই যাদবপুরের ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতার নগরপাল মনোজ ভর্মাকে চিঠি লিখল জাতীয় মহিলা কমিশন। সেই চিঠি সংক্রান্ত বিষয়ে নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছে তারা। কমিশন এর তরফে জানানো হয়েছে যাদবপুর ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি স্বতপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে। কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে একটি চিঠি পাঠিয়ে গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছে তারা। বিশ্ববিদ্য়ালয়ের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর বাড়তি নজর দিতে বলা হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে কলকাতা পুলিশকে কমিশনের কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।

আরও পড়ুন-দেবীপক্ষেই খেলা হবে

বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় চার নম্বর গেট লাগোয়া ঝিল পাড়ে হঠাৎ করেই একটা দেহ ভেসে উঠতে দেখেন পড়ুয়ারা। দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। মৃতের নাম অনামিকা মণ্ডল। যাদবপুরের স্নাতক স্তরের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তিনি। সেই মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয় নানা জল্পনা। শুক্রবার সন্ধ্য়ায় দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসায় দেখা গিয়েছে শরীরে কোনও আঘাতের উল্লেখ নেই। জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তিনি মদ্যপান বা অন্য কোনও মাদক সেবন করেছিলেন কিনা সেটা জানা যায়নি। আপাতত ভিসেরা পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে। রাজ্য পুলিশের তদন্তের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখছেন মৃতার পরিবার। এই ঘটনার পর আরও একবার বিভিন্ন মহলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন।

আরও পড়ুন-আজব! যোগীরাজ্যে অনলাইন ভিডিয়ো দেখে নিজেই লিঙ্গ পরিবর্তনের অস্ত্রোপচার যুবকের

এর মাঝেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্ত কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কিছু সমস্যা রয়েছে। অনেক নিরাপত্তারক্ষীরা গত কয়েক বছরে অবসর গ্রহণ করেছেন। তাই সংখ্যা কমে গিয়েছে। তারপরেও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে, বারবার করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এই ধরনের ঘটনা ঘটার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরালো হবে প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়িত আর হয় না কেন।

 

Latest article