প্রতিবেদন : বাংলাই পথ দেখিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এখন দেশে মডেল। বাংলায় তুমুল জনপ্রিয় এই প্রকল্পকে স্রেফ টুকলি করে বিধানসভা ভোটের আগে মহারাষ্ট্রে ‘লড়কি বহিন যোজনা’ চালু করেছে বিজেপি। এই প্রকল্পই আপাতত বাঁচিয়ে দিল তাদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুসরণ ও অনুকরণ করেই নিঃশ্বাস নেওয়ার জায়গা পেল বিজেপি। এরপরে আর কোন মুখে কথা বলবে বিজেপি নেতারা! বাংলার ৬টি আসনেই উপনির্বাচনে গো-হারা হেরেছে বিরোধীরা। এই আবহে মুখ রক্ষায় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর মতলব করেছে তারা।
আরও পড়ুন-আমরা ছাত্রদল
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ তীব্র কটাক্ষে বলেন, নাচতে না জানলেই বলা হয় উঠোন বাঁকা। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এসে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে বাংলার উপনির্বাচন আয়োজিত হয়েছিল৷ এই উপনির্বাচনে উপস্থিত ছিল গোটা মিডিয়াকুল৷ তারপরেও কীভাবে এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে? প্রশ্ন তোলেন কুণালের। এর পাশাপাশি নির্বাচনে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে ক্রমেই কংগ্রেসের অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ার বিষয়টি৷ শনিবার ঝাড়খণ্ডে বিরোধী শিবির ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে, তার প্রধান কারণ জেএমএম৷ এর পিছনে কংগ্রেসের ভূমিকা নগণ্য৷ মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য, যেখানে একদিন কংগ্রেসের প্রবল আধিপত্য ছিল, শনিবারের ভোট ফলাফল দেখিয়ে দিয়েছে যে সেই মহারাষ্ট্রেও কংগ্রেস শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ৷ এর আগে জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটেও বিরোধী জোট যখন জয়ী হয়েছিল, তখনও কংগ্রেসের ভূমিকা ছিল নগণ্য৷ কাশ্মীরে বিজেপিকে হারানোর মূল কারিগর ফারুখ ও ওমর আবদুল্লাহর ন্যাশনাল কনফারেন্স৷ এই পরিস্থিতিতে বাংলার উপনির্বাচনের ৬টি আসনেই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে কংগ্রেস প্রার্থীদের৷ এই ভোটে গো-হারা হারার পরে কংগ্রেসও যেভাবে অন্যান্য বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অবাধ ভোট না হওয়ার অভিযোগ তুলছে, তা একেবারেই যুক্তিযুক্ত নয়।