শ্রীলঙ্কাকে এখনই আর্থিক সাহায্য করবে না বিশ্বব্যাঙ্ক

Must read

প্রতিবেদন : সদ্য শপথ নিয়েছেন দেশের নতুন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্র। কিন্তু দুঃসময় যেন পিছু ছাড়ছে না শ্রীলঙ্কার। বিশ্বব্যাঙ্কের (World Bank)  পক্ষ থেকে জানানো হল, এই মুহূর্তে তাদের পক্ষে এখনই নতুন করে শ্রীলঙ্কাকে আর্থিক সাহায্য করা সম্ভব হচ্ছে না। শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংঘের আশা ছিল, বিশ্বব্যাঙ্কের সাহায্য নিয়ে দেশের চলতি আর্থিক সংকট সামাল দেবেন। কিন্তু রনিলের সেই আশায় ছাই দিয়ে কার্যত হাত তুলে নিল বিশ্বব্যাঙ্ক (World Bank)। এখন দেখার, আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য মেলে কি না। আইএমএফও যদি কলম্বোকে অর্থ দিতে অস্বীকার করে তবে আরও অন্ধকারে তলিয়ে যাবে দ্বীপরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ। বিশ্বব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্তে নিশ্চিতভাবেই শ্রীলঙ্কার আর্থিক পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা আরও ধাক্কা খেল।

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গ থেকে জলপথে পণ্য যাবে মেঘালয় ও অসমে

এরপর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে শ্রীলঙ্কা এই ভয়াবহ সংকট থেকে মুক্তি পাবে? বিশ্বব্যাঙ্ক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নয়ন করতে হলে পরিকাঠামোগত সংস্কার ছাড়া বিকল্প কোনও পথ নেই। পরিকাঠামোগত সেই সংস্কার যতদিন না হচ্ছে, ততদিন নতুন করে আর্থিক সাহায্য করার কোনও উপায় নেই। তবে ওষুধ, জ্বালানি, রান্নার গ্যাস, স্কুল পড়ুয়াদের খাবার, দরিদ্র পরিবারের জন্য নগদ সাহায্যের মতো বিভিন্ন কাজ চালাতে দ্বীপরাষ্ট্রকে সাহায্য করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মানবাধিকারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এই ধরনের আর্থিক সাহায্য বজায় থাকবে। বিশ্বব্যাঙ্কের এই মন্তব্যে এটা স্পষ্ট হয়ে গেল যে, শ্রীলঙ্কার সামগ্রিক আর্থিক পরিস্থিতির বদল ঘটার তেমন কোনও আশু সম্ভাবনা নেই। এখন বিভিন্ন দেশের অনুদান ও সাহায্যই বড় ভরসা কলম্বোর। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরু থেকেই চরম আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে শ্রীলঙ্কা। একদিকে চিনের কাছ থেকে নেওয়া বিপুল ঋণের জন্য গুনতে হচ্ছে চড়া সুদ। অন্যদিকে করোনাজনিত কারণে দ্বীপরাষ্ট্রের পর্যটন শিল্প একেবারেই বিপর্যস্ত। কলম্বো এই উভয় সংকট কীভাবে সামাল দেয় সেটাই দেখার।

Latest article