শান্তনু বেরা, কাঁথি: পেশায় তিনি স্কুলশিক্ষক, কিন্তু নেশা হল বট-অশ্বত্থের চারারোপণ। স্থানীয় কুলাইপদিমা নিম্নবুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্যামল জানা ফুরসত পেলেই রাজ্য জুড়ে বৃক্ষরোপণে বেরিয়ে পড়েন। বাড়ি কাঁথি ১ ব্লকের ছত্রধরা গ্রামে। তাঁর স্লোগান, ‘থাকব নাকো বদ্ধ ঘরে, বৃক্ষরোপণ বিশ্ব জুড়ে’। (world Environment Day 2022) সবুজের অভিযানে আপাতত তাঁর টার্গেট, নিজের হাতে ৫ হাজার বট-অশ্বত্থের চারা পোঁতা। গত কয়েক মাসে কলকাতা-সহ বেশ কিছু জেলায় ৫৯৫টি বৃক্ষরোপণ করে ফেলেছেন। কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর কোথাও বাদ নেই। তাঁর স্বপ্ন, গোটা পৃথিবী সবুজে ভরে উঠুক। এমন ব্যক্তি ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে (World Environment Day 2022) বাড়িতে বসে থাকবেন না, এটাই স্বাভাবিক। নেশার টানে রবিবার বঙ্গোপসাগরের উপকূলে বগুড়ান জলপাই গ্রামে ৩০টি বট-অশ্বত্থের চারা পুঁতলেন তিনি। ক’দিন আগে ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (হাওড়া হেড কোয়ার্টার) দ্যুতিমান ভট্টাচার্যর হাতে তুলে দেন বটবৃক্ষ উপহার। কিন্তু এত গাছ থাকতে বট-অশ্বত্থ কেন? শ্যামলের যুক্তি, ‘বট-অশ্বত্থ দীর্ঘজীবী হয়। যে গাছ থেকে আসবাব বা জ্বালানি কাঠ মেলে, সেগুলো লোকে কেটে নেয়। কিন্তু বট-অশ্বথ লোকে কাটে না। পাখিরাও বাসা বাঁধে।’ বিশ্ব পরিবেশ দিবসে তিনি বলেন, যেভাবে উষ্ণায়ন বাড়ছে, তাতে সুদূর অতীতে গাছ ছাড়া গতি নেই।’
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এলাকায় বিধায়ক, প্রতি শনিবার বৈঠক