প্রতিবেদন : বিশ্বের প্রথম ‘কার্বন ক্রেডিট কার্ড’ (Carbon credit card) চালু করতে চলেছে বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। ব্যক্তিগতভাবে কার্বন ব্যবহার কমানোর লক্ষ্য নিয়েই চালু করা হচ্ছে এই কার্ড। প্রাথমিকভাবে স্কুলগুলোর ইকো ক্লাবের সদস্য ছাত্রদের এই কার্ড দেওয়া হবে।
ভারতের জলবায়ু-অর্থায়নের চাহিদা এবং কৌশলগুলোর উপর দৃষ্টি রেখে কার্বন ক্রেডিট কার্ডের পরিকল্পনাটি হাতে নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি পরিবেশ দফতরের সচিব অভিনব চন্দ্র কলকাতায় জলবায়ু সংক্রান্ত একটি কর্মসূচিতে একথা জানান। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে গণপরিবহণ ব্যবহার, প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার এড়ানো, সাইকেল ব্যবহার, বাজি না পোড়ানো-সহ একাধিক পরিবেশবান্ধব কাজে উৎসাহ বাড়াতেই এই গ্রিন ক্রেডিট কার্ডের পরিকল্পনা নিয়েছে আমাদের সরকার।
আরও পড়ুন-এবার বাড়ির উঠোনে রয়্যাল বেঙ্গল
এই পরিকল্পনার বাস্তবায়নে স্কুলগুলোকে বলা হবে, ছাত্ররা কী পরিমাণ কার্বন সাশ্রয় করছে তা রেকর্ড করতে। রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা শুধুমাত্র পরিবেশগত কর্মসূচিই নয়, এর উন্নয়নমূলক তাৎপর্য রয়েছে। এ-প্রসঙ্গে পরিবেশ দফতরের পরামর্শদাতা রাজশ্রী রায় বলেন, জলবায়ুর ঝুঁকি কমাতে আমরা কী ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছি তার উপর নির্ভর করছে বিশ্বের ভবিষ্যৎ। তাই এই উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের।
আরও পড়ুন-কুম্ভমেলায় ভয়াবহ আগুন, গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটে বাড়ছে বিপদ
কী এই গ্রিন ক্রেডিট কার্ড, এর ব্যবহারই বা কীভাবে হবে? পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিবেশ বিভাগের চালু করা গ্রিন কার্বন ক্রেডিট কার্ড পরিবেশ সংরক্ষণে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কৃত করবে। পরিবেশবান্ধব কার্যকলাপে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়ে মানুষ ‘ব্রাউন পয়েন্ট’ অর্জন করতে পারবে এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে। ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে গণপরিবহণ ব্যবহার, সাইকেল চালানো, বর্জ্য পুনর্ব্যবহার, প্লাস্টিকের ব্যাগ এড়িয়ে চলা, আতশবাজি ব্যবহারে বিরত থাকার মাধ্যমে সবুজ পরিবেশকে রক্ষা করতে সহায়তা করলেই অর্জন হবে ব্রাউন পয়েন্ট। পরিবেশ দফতরের সচিব অভিনব চন্দ্র জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে প্রধান অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম-সহ বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে পয়েন্ট অর্জন করতে পারবে। প্রতিটি ইকো ক্লাব তার সদস্যদের কার্বন ক্রেডিট ট্র্যাক করবে এবং কার্বন ফুটপ্রিন্ট হ্রাস পর্যবেক্ষণ করে তা রেকর্ড করে রাখবে। এই উদ্যোগটি রাজ্য জুড়ে আরও বেশি লোকের কাছে প্রসারিত হবে। প্রসঙ্গত, এই উদ্যোগটি ভারতের গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড রেডিনেস প্রোগ্রামের আওতাধীন বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ।