প্রতিবেদন : এই হল যোগীরাজ্যের পুলিশ। এক নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির দালালের ভূমিকা নিল পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া অবশ্যকর্তব্য যে পুলিশের, সেই পুলিশই আসরে নেমে পড়ল অভিযুক্তকে বাঁচাতে। ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যাপারটা মিটমাট করে নেওয়ার জন্য নির্যাতিতার পরিবারকে পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, ওই পরামর্শ মানার জন্য রীতিমতো চাপও দেওয়া হয় নির্যাতিতার পরিবারের উপরে। ঘটনাটি ঘটেছে যোগীরাজ্যের মাসাউলি থানা এলাকায়। জনরোষের ভয়ে অবশ্য গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত অঙ্কিত বর্মাকে। আটক করা হয়েছে তার ভাইকেও।
আরও পড়ুন-আড়াই লাখ সরকারি কর্মীর বেতন বন্ধ করল যোগী সরকার!, তথ্য না প্রকাশের শাস্তি
থানার ইন্সপেক্টর অরুণপ্রতাপ সিংকে দায়িত্ব থেকে অপসারিত করা হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে সাব ইন্সপেক্টর মনোজ কুমারকে। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটা? গত ২২ অগাস্ট ওই কিশোরীকে গ্রাম থেকে তুলে নিয়ে যায় অঙ্কিত। গাজিয়াবাদের একটি হোটেলে আটকে রেখে টানা ৩ দিন ধরে ধর্ষণ করে ওই নাবালিকাকে। ভয়ঙ্কর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। ওই অবস্থাতেই বাড়ির সামনে কিশোরীটিকে ফেলে রেখে চলে যায় ধর্ষক। রীতিমতো চোখ রাঙিয়ে নির্যাতিতাকে সে শাসানি দেয়, বিষয়টা জানাজানি হলে পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে। বাড়ি ফিরে সবকথা জানায় নির্যাতিতা। পরিবারের পক্ষ থেকে মাসাউলি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ প্রথমে তা নিতে চায়নি। পরে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিষয়টা আপসে মিটিয়ে নেওয়ার জন্য পরিবারের উপর চাপ দেয় পুলিশ। সেই চাপের কাছে অবশ্য মাথানত করেননি নির্যাতিতার কাকা। শেষে বিষয়টা লোকের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের ভূমিকায় তুমুল ক্ষোভ উগরে দেন এলাকার মানুষ। মূলত এলাকার মানুষের চাপে পড়েই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় পুলিশ। কড়া পদক্ষেপ করা হয় থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সহ মোট দু’জনের বিরুদ্ধে। লক্ষণীয়, ২০১৮তে খুন হয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা। তারপরেই আত্মহত্যা করেন তার মা।