প্রতিবেদন: শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাতেই নিদারুন ব্যর্থতা নয়, নেকড়ের হানা থেকে অসহায় গ্রামবাসীদের রক্ষার ক্ষেত্রেও চূড়ান্ত অপদার্থতার পরিচয় দিচ্ছে যোগী সরকার। কিছুদিন আগেই বহারাইচে ভোররাতে ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে ৬ বছরের ঘুমন্ত শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল হিংস্র নেকড়ে। পরেরদিন সকালে আখের খেতে পাওয়া যায় তার ক্ষতবিক্ষত দেহ। এবার বহারাইচেই রাতের অন্ধকারে ঘরে ঢুকে মায়ের পাশে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকা আড়াই বছরের অঞ্জোলিকে টেনে নিয়ে গেল নেকড়ে। দুহাত কামড়ে খাওয়ার পরে প্রায় ১ কিমি দূরে তাকে ফেলে রেখে চলে যায় মানুষখেকো হিংস্র জন্তুটি। ঘুম ভাঙার পরে কোলের শিশুর নিথর দেহ দেখে জ্ঞান হারান মা। এখানেই শেষ নয়, কিছুটা দূরে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধর উপরেও হামলা চালায় নেকড়েটি। এই নিয়ে প্রায় ৭ থেকে ৮ জন মাত্র কিছুদিনের মধ্যে প্রাণ হারালেন নেকড়ের আক্রমণে। বাহরাইচ ও সীতাপুর জেলা মিলিয়ে নেকড়ের আক্রমণে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১২। জখম ৫০ জনেরও বেশি। শুধু বাহরাইচেই নেকড়ের ভয়ে কার্যত বিনিদ্র রজনী কাটছে ৩৫ টি গ্রামের মানুষের।
গ্রামবাসীরা বলছেন, এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ৬টি নেকড়ের একটি দল। বন দফতরের দাবি, ধরা পড়েছে একটিমাত্র নেকড়ে। কিন্তু বন দফতরের দাবি, ৬টির মধ্যে ৪টিকেই বন্দি করেছে তারা। গ্রামবাসীরা যোগী সরকারের এই কথায় আদৌ বিশ্বাস করছেন না। তাদের বক্তব্য, নিজেদের অপদার্থতা চাপা দিতেই মিথ্যা গল্প সাজাচ্ছে বন দফতর।
আরও পড়ুন-হিলি রেল প্রকল্পের জন্য ৮১ একর জমি দিল জেলাপ্রশাসন
তবে নেকড়েদের ফাঁদে ফেলতে বন দফতর এক অদ্ভুত কৌশল নিয়েছে। ছোট ছোট পুতুলের গায়ে মূত্র মাখিয়ে রেখে দেওয়া হচ্ছে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায়। তারপরে ড্রোন উড়িয়ে নজর রাখা হচ্ছে নেকড়ে শিশু মনে করে সেই পুতুলের কাছে আসছে কিনা। এলেই ফাঁদে ফেলার অপেক্ষায় থাকছে্ন প্রশিক্ষিত বনকর্মীরা। কিন্তু এই কৌশল আদৌ কতটা কাজে আসে সেটাই এখন দেখার বিষয়।