”২০২৬ সালে আপনারা রাজনীতিতে শূন্য হয়ে যাবেন”, বিধানসভা থেকে বিরোধীদের নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর

এরপরেই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অভব্য আচরণ করায় বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাওকে মার্শাল দিয়ে বহিষ্কার ও সাসপেন্ড করা হয়।

Must read

সপ্তাহের শুরুতে সোমবার উত্তপ্ত বিধানসভা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বক্তব্য রাখা শুরু করলেই হট্টগোল শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। এরপরেই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অভব্য আচরণ করায় বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাওকে মার্শাল দিয়ে বহিষ্কার ও সাসপেন্ড করা হয়। সেই ইস্যুতে বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরকে নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “আমি বিধানসভায় পা রাখলেই ওদের আর কোনও প্রশ্ন থাকে না। বিতর্ক করার মতো যুক্তিও থাকে না। তাই এখন গায়ে পড়ে অপপ্রচার চালায় আর স্লোগান দেয়।”

আরও পড়ুন-বেণীনন্দন স্ট্রিটে খুনের ঘটনায় অবশেষে পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত

নাম না নিয়েই রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতা সুকান্ত মজুমদারকে নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপনাদের হাফ মিনিস্টার আমাদের পাড়ায় গিয়ে এক পাঞ্জাবি অফিসারকে জুতো ছুঁড়ে মারেন। এটাই কি রাজনৈতিক শালীনতা? আমার বাড়িতে আপনি ঢোকার চেষ্টা করলে, আমরাও আপনার বাড়ির ঠিকানা জানি। বাড়াবাড়ি করলে জবাব পাবেন।”

এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা তো গদ্দারদের আশ্রয় দেন। যারা দেশ বিক্রি করেছে, তাদের হাত শক্ত করেন। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই। আর বড় বড় কথা বলছেন!” গুজরাতের ভয়াবহ দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যেদিন গুজরাতে ঘটনাটা ঘটেছিল, আমরা রাজনৈতিক সৌজন্যের কারণে চুপ ছিলাম। কিন্তু সেই সৌজন্যের অপব্যবহার করবেন না। এত যদি হাওয়াই চটি ভালো লাগে, তা হলে হাওয়াই চটির দোকান দিন। ব্যবসা মন্দ হবে না!”

আরও পড়ুন-দৌন্ডগামী একটি ডিজেল ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট শাটল ট্রেনে আগুন

এদিন বিজেপির প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, “আমার সব ফাইল কেন্দ্রের কাছে আছে। আমি চলে আসার পরও ওরা একটাও ফাইল ছাড়েনি। দেখেছে — কিছু পায়নি। আমি এক পয়সা বেতন নিই না। সার্কিট হাউজে থাকা-খাওয়ার খরচ নিজের পকেট থেকেই দিই। আমার খাওয়াদাওয়া, পোশাক-আশাক, ওদের ঠিক করার অধিকার নেই। কে কী খাবে, পড়বে—তা নিয়ে মন্তব্য করার সাহস কোথা থেকে আসে? ২০২৬ সালে আপনারা রাজনীতিতে শূন্য হয়ে যাবেন। মানুষ সব বুঝে গেছে।”

Latest article