প্রতিবেদন: ভয়ঙ্কর ঘটনা। বিজেপির রাজ্যপ্রধানের বিরুদ্ধেই ধর্ষণের অভিযোগ। এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাও দায়ের করেছে পুলিশ। এই মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে বিজেপি-শাসিত হরিয়ানারই দলের রাজ্য সভাপতি মোহনলাল বাদোলির বিরুদ্ধে। ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে গেরুয়া প্রধানের দোসর গায়ক রকি মিত্তল ওরফে জয় ভগবানের বিরুদ্ধেও। সবমিলিয়ে নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে হিমাচল প্রদেশের কসৌলি থানার পুলিশ অভিযুক্ত বিজেপি প্রধান এবং ওই গায়কের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা করেছে। হিমাচল প্রদেশের কসৌলির একটি হোটেলেই ঘটেছে এই ন্যক্কারজনক ঘটনা। ২০২৩এর ৩ জুলাই ঘটনাটি ঘটলেও এফআইআর দায়ের করা হয় ১৩ জুলাই। বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছে হরিয়ানা এবং হিমাচল প্রদেশ জুড়ে।
আরও পড়ুন-সংঘপ্রধানের মন্তব্যে নিন্দার ঝড়
ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটা? নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, দুই বন্ধুর সঙ্গে হিমাচল প্রদেশে বেড়াতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানেই আলাপ হয় মোহনলাল বাদোলি এবং রকি মিত্তলের সঙ্গে। কথা বলার নাম করে নির্যাতিতা ও তাঁর বন্ধুকে অভিযুক্তরা নিয়ে যায় হোটেলে তাদের ঘরে। মাঙ্কি পয়েন্ট রোডের ওই হোটেলটি হিমাচল প্রদেশ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের। ঘরে নিয়ে গিয়ে বিজেপি নেতা এবং গায়ক বলে পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি গালভরা প্রতিশ্রুতি দেয় দুই মহিলাকে। অযথা প্রশংসায় ভরিয়ে দেয় তাদের। বিজেপি প্রধান নির্যাতিতাকে আশ্বাস দেয়, তাঁকে একটি সরকারি চাকরি পাইয়ে দিতে সাহায্য করবে। সঙ্গী গায়কের প্রতিশ্রুতি, তার অ্যালবামে নায়িকা হিসাবে সুযোগ করে দেওয়া হবে ওই মহিলাকে। তাঁকে জোর করে মদ্যপানও করায় বিজেপি নেতা এবং তার দোসর। এরপরেই গণধর্ষণের পালা। একে একে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে হরিয়ানার বিজেপি নেতা এবং তার শাগরেদ। বিবস্ত্র মহিলার ভিডিও তুলে রেখে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয় গেরুয়া নেতা। হুমকি দেয় খুনেরও। বলে, পুলিশকে জানালে মারাত্মক ফল ভুগতে হবে।
আরও পড়ুন-নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার, যোগীকেই দায়ী করলেন বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
এখানেই শেষ নয়, মাসদুয়েক আগে পঞ্চকুলায় ডেকে ধর্ষকরা আবার হুমকি দেয় নির্যাতিতাকে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। অগত্যা, পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা। সোলান জেলার পুলিশ সুপার গৌরব সিং জানিয়েছেন, কসৌলি থানায় এফ আই আরের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত।