মঙ্গলবার রাতে উত্তর প্রদেশের লখনউয়ের (Lucknow) সরোজিনী নগরে বিবাহিত বান্ধবীর বাড়িতে রহস্যজনক মৃত্যু এক ব্যক্তির। ঘটনাস্থল থেকে ২১ বছর বয়সী এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম অর্পিত ও তিনি ফারুখাবাদ চিল্লাওয়ানের বাসিন্দা। আজাদ নগরের এক বিবাহিত মহিলা সুমন মৌর্যের সাথে দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এই যুবকের। সূত্রের খবর, সুমনের বাড়ির কাছে অর্পিতের একটি জমি ছিল যেখানে সে গরু রাখতেন এবং প্রতিদিন গরুগুলোকে খাওয়াতে যেতেন এবং সুযোগ বুঝে প্রেমিকার সাথে দেখা করতেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায়, অর্পিতের কাকা তাঁর পরিবারকে জানান যে সুমনের বাড়িতে তাঁকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে। শীঘ্রই তাঁকে উদ্ধার করে লোকবন্ধু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন-বৃষ্টি ও ধুলোঝড়ে লন্ডভন্ড দিল্লি, মৃত ৬
পুলিশের তরফে খবর, এই ঘটনার নেপথ্যে ষড়যন্ত্র রয়েছে সেই বিষয়ে সন্দেহ নেই। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয় এবং মৃতের পরিবার অবিলম্বে পুলিশি হস্তক্ষেপের দাবি জানায়। অর্পিতের গলায় দাগগুলি আত্মহত্যা বা শ্বাসরোধ করে হত্যার ফলে হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে তবে ময়নাতদন্তের পরেই সঠিক রিপোর্ট জানা যাবে। প্রথমে বলা হয়, অর্পিত এবং সুমন বিষ খেয়েছিলেন, কিন্তু পরে সুমন স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। তিনি দাবি করেন যে, অর্পিতার সঙ্গে পালানোর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় হতাশ হয়ে অর্পিত আত্মহত্যা করেছেন।
আরও পড়ুন-সরকারি প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি অভিযান নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত ইডি
সুমন জানান, তিনি সাহায্যের জন্য একজন প্রতিবেশীকে ডাকেন। পরে তিনি এবং তার স্বামী ছোটু মৌর্য (ওরফে রাজকুমার) তাদের ঘর তালা দিয়ে পালিয়ে যান। অর্পিতের পরিবার খুনের সন্দেহে সুমন, তার স্বামী এবং তাদের পরিবারকে অভিযুক্ত করে সরোজিনী নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এরপরেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুমনকে আটক করা হয়। কিন্তু এর মধ্যেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে স্থানীয়দের তরফে। রীতিমত হতাশ হয়ে, আত্মীয়স্বজন এবং গ্রামবাসীরা বুধবার সন্ধ্যায় আমাউসি মেট্রো স্টেশনের কাছে কানপুর রোড ২০ মিনিটের জন্য অবরোধ করে। যুগ্ম নগরপাল অমিত ভার্মা জানিয়েছেন যে তদন্ত চলছে, পোস্টমর্টেম রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে আশা করা হচ্ছে।