ওড়িশার রৌরকেল্লায় অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant) স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। আশ্চর্যের বিষয় অস্ত্র লুকোতে তিনি সাহায্য নিলেন খোদ পুলিশের। যুবকের এক আত্মীয় পুলিশের সহকারী সাব-ইনস্পেক্টর (এএসআই) পদে ছিলেন। তাঁর সাহায্যেই যুবক স্ত্রীকে খুনের ষড়যন্ত্র করেছিলেন। যদিও দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-হাইকোর্টে লাল কেল্লার অধিকার দাবি করলেন মুঘল পুত্রবধূ
শুক্রবার দেবেন কুমার বেহেরা এবং সত্যনারায়ণ বেহেরা নামের দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় পঞ্চায়েতের এক্সটেনশন অফিসার (পিইও)। তাঁর আত্মীয় সত্যনারায়ণ সুন্দরগড়ের উদিতনগর কোর্টে এএসআই পদে ছিলেন। এদিন গোপীনাথপুরে দেবেনের বাড়ি থেকে তাঁর স্ত্রীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। নিহতের নাম সাম্যময়ী বেহেরা। পরিবার সূত্রে খবর, তাঁদের বাড়িতে ডাকাত এসেছিল। তারা তাঁর স্ত্রীর গলা থেকে সোনার চেন এবং মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে সে বাধা দেয়। এরপরেই তারা গুলি চালায়। স্ত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন দেবেন। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মহিলা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
আরও পড়ুন-গল্ফগ্রিনকাণ্ডে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একজন আটক, তড়িঘড়ি সিট গঠন
পুলিশের তদন্তে উঠে আসে বেশ কিছু বিষয়ে সন্দেহজনক তথ্য। পরিবারের লোকজন এবং প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে, ফরেন্সিক তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ জানতে পারে, ডাকাতি নয়, পরিকল্পিত হত্যার ঘটনা এটি। মহিলার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় তিনি এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন আর সেই কথা স্ত্রী জানতে পারে। তাই স্ত্রীকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন অভিযুক্ত। তাঁর সঙ্গে তাঁর এএসআই আত্মীয়কেও গ্রেফতার করা হয়। অস্ত্র লুকোতে এবং পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করতে ওই এএসআই তাকে সাহায্য করে। তাঁদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।