ফোনে কথা বলতে এতটাই মগ্ন যুবক যে সামনে কী রয়েছে সেদিকে খেয়ালই নেই তাঁর। কথা বলতে বলতেই হঠাৎ সামনে এক গভীর কুয়োয় পড়ে যান যুবক। মৃত যুবকের নাম রাহুল কুমার। ২৪ ঘণ্টা ধরে খোঁজাখুঁজির পর ওই কুয়ো থেকে অচৈতন্য অবস্থায় বছর বাইশের এই ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি এই যুবককে। উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) হাথরসের বাসিন্দা এই যুবক ১২০ ফুট গভীর কুয়োর মধ্যে হঠাৎ পড়ে যান। ফোনে কথা বলতে বলতে তিনি বুঝতে পারেননি তিনি যে কুয়োর ধারে চলে এসেছেন। পা ফস্কে কুয়োর মধ্যে পড়ে যান। খবর পেয়ে স্থানীয়েরা এসে প্রথমে তাঁকে কুয়ো থেকে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা না পেরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকল এবং উদ্ধারকারী দল।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে
ঘটনার আকস্বিকতায় নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টাও করতে পারেন নি ওই যুবক। প্রতিবেশীরা বুঝতে পেরে উদ্ধারকাজে হাত লাগায়। ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কুয়োর ভেতরে তল্লাশি চালানো হয়। অবশেষে উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরা ওই যুবককে খুঁজে পান। তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় কুয়োর বাইরে। জ্ঞান না থাকায় নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকেরা যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, রাত প্রায় ১১টা নাগাদ ওই যুবক ফোনে ট্র্যাক্টর নিয়ে এক আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন। অন্ধকার ছিল চারদিক আর কুয়োর মুখটি ঝোপঝাড় দিয়ে ঢাকা ছিল। তাই সেটি নজরে পড়েনি যুবকের। রাহুল মেধাবী ছাত্র ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। পড়াশোনা ছাড়া চাষবাসও করত। তাদের পরিবার আলু চাষ করত। ট্যাক্টর খারাপ হয়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েন রাহুলের বাবা। রাহুল তাঁর কাকার সঙ্গে ওই ট্যাক্টরের বিষয়ে কথা বলছিলেন। তারপরেই এই বিপত্তি।