প্রতিবেদন : হাস্যকর মন্তব্যের যেন ঝড় উঠেছে বাংলাদেশে। সবচেয়ে হাস্যকর হয়ে উঠছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহঃ ইউনুস নিজে। আস্থা হারাচ্ছে তাঁর সরকার। একেবারে ত্রিফলা চাপে পড়ে গিয়েছেন তিনি। অবিলম্বে নির্বাচনের দাবিতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিদ্রোহ। নতুন বছরের শুরুতেই ইউনুসের অফিস ঘেরাও করা হবে বলে এবার হুঁশিয়ারি দিল গণ অধিকার পরিষদ। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিল, সংস্কারের অজুহাতে ভোট নিয়ে টালাবাহানা চলবে না।
আরও পড়ুন-যৌথ অভিযানে কাশ্মীরি জঙ্গি এসটিএফের জালে
বিএনপি-সহ ১২ দলের জোটও রবিবার দ্বিধাহীনভাবে জানিয়ে দিয়েছে, যতদিন জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত না হচ্ছে ততদিন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় বাংলাদেশে। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এতদিন প্রতিটি বিষয়ে ইউনুসের পাশে দাঁড়ালেও এখন জামায়েত ইসলাম প্রশ্ন তুলেছে, নির্বাচন কমিশন গঠিত হওয়ার পরেও নির্বাচনের ব্যাপারে ইউনুসের টালবাহানা কেন? ঢাকায় বিএনপির চেয়ারপার্সনের অফিসে এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন ১২ দলের জোটের (নেতারা। সেখানেই ইউনুসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের সুর চড়ান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা এবং পৃষ্ঠপোষকরাই। বেগতিক দেখে ভারতবিদ্বেষকে উসকে দিয়ে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরতে আরও মরিয়া হয়ে উঠেছেন প্রধান উপদেষ্টা। এতদিন তাঁর তৈরি একপেশে তদন্ত কমিশন অভিযুক্তদের গুম করে দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। এখন সেই গরুর গাছে চড়ার গল্পে তারা জড়াতে চাইছে ভারতকে। কিন্তু জল যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে বোঝাই যাচ্ছে পাকিস্তানকে তোয়াজ করেও ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা রীতিমতো কঠিন হয়ে দাঁড়াবে ইউনুসের পক্ষে।
আরও পড়ুন-ওয়েবকুপা : কাজ শুরু করে দিল কোর কমিটি
এদিকে, হাতে হাত মিলিয়ে একদিন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ-ত্যাগে বাধ্য করলেও সময় যতই এগোচ্ছে দূরত্ব বাড়ছে বিএনপি এবং জামায়েতের মধ্যে। শুধুমাত্র দূরত্ববৃদ্ধি নয়, রীতিমতো সঙ্ঘর্ষেও জড়িয়ে পড়ছেন দু-দলের কর্মী-সমর্থকেরা। শনিবার গাইবান্ধার সাঘাটায় বিএনপি এবং জামায়েতের মধ্যে ব্যাপক সঙ্ঘর্ষ হয়। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে স্থানীয় পল্টন মোড়। জখম হন অন্তত ২০ জন। ভাঙচুর চলে গাড়ি আর মোটরসাইকেলে। প্রাণভয়ে দৌড়তে থাকেন সাধারণ মানুষ। পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, নিষেধ সত্ত্বেও একটি ধর্মীয় জলসায় এক বিএনপি নেতার নাম দেওয়াকে কেন্দ্র করেই এই সঙ্ঘর্ষ।
ইউনুসের প্রতি বিতৃষ্ণা এবং অনাস্থা তাঁর এক সময়ের সমর্থকদের মধ্যেও কীভাবে তীব্র হয়ে উঠছে তার প্রমাণ গণসংহতি আন্দোলনের নেতাদের মন্তব্যেই প্রতিফলিত হচ্ছে। আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সখেদ মন্তব্য, ৪ মাস অতিক্রান্ত। এখনও লালফিতের দৌরাত্ম্য দেখাচ্ছে পুরনো আমলাতন্ত্র। আর সেই দৌরাত্ম্যের মধ্যেই খাবি খাচ্ছে আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার।