কিছুটা টালবাহানার পর ভারতে ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। আর তাতেই এবার নিজের দেশেই তোপের মুখে ইউনুস সরকার। ভারতে ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মামলার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী একাধিক দফতরের সচিব ও শীর্ষ আধিকারিকদের আইনি নোটিশ পাঠিয়ে ভারতে ইলিশ রফতানির কড়া বিরোধিতা করে বলেছেন, যে দেশ শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয় সেখানে ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্তে বঞ্চিত হবেন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন-ভাল খেলেই জিতল মোহনবাগান
যদিও নিজের দেশে বিরোধিত্র পরিপ্রেক্ষিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের যুক্তি দেখিয়ে সরকারি আধিকারিকরা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, যে পরিমাণ মাছ রফতানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তাতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে কোনও প্রভাব পড়বে না। উল্টে ইলিশ রফতানি করলে বৈদেশিক মুদ্রা আসবে দেশে, বন্ধ হবে চোরাচালান। অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ভেবেচিন্তেই সরকার ভারতে ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁর কথায়, বাংলাদেশের মানুষকে বঞ্চিত করার প্রশ্নই নেই। কারণ চাঁদপুরের ঘাটে মাত্র একদিনে যত ইলিশ ধরা পড়ে, শুধুমাত্র সেই পরিমাণ মাছই রফতানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যদিও সরকারের ব্যাখ্যায় বিভিন্ন মহলের সমালোচনা থামছে না। গত ৫ অগাস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই একদিকে মৌলবাদীদের বাড়বাড়ন্ত এবং অন্যদিকে ভারত বিরোধিতার জিগির বেড়েছে। এই আবহে অনেকেরই মত, যে দেশ পলাতক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে সেখানে কেন ইলিশ রফতানি? তির্যকভাবে কেউ কেউ বলেছেন, চাঁদপুরের ইলিশ হাসিনার পাতে তুলে দিতে সরকারের ভিতরে থাকা তাঁর কোনও অত্যুৎসাহী অনুগামী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউনুস সরকারকে দুষে কেউ কেউ আবার বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চরম ব্যর্থ ইউনুস সরকার ভারতকে ইলিশ খাইয়ে সরকারের স্থায়িত্ব বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে। সব মিলিয়ে ভারতে ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্তে যতটা খুশি এদেশের মানুষ, তার ঠিক উল্টো প্রতিক্রিয়া ওপারে।