প্রতিবেদন: গুরুতর অসুস্থ, শয্যাশায়ী। ক্যানসারের আক্রমণে জর্জরিত দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকেও এবার খুনের মামলায় জেলে ভরতে চায় বাংলাদেশের ইউনুস সরকার।
দেশ ছেড়ে পালানোর জল্পনা নস্যাৎ করে রবিবার গভীর রাতে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও ক্যানসার আক্রান্ত আবদুল হামিদ (abdul hamid)। প্রতিহিংসাবশত এবার খুনের মামলায় গ্রেফতার হতে পারেন তিনি। ঢাকা এবং কিশোরগঞ্জে তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। এই মামলাতেই তাঁকে জেলে পোরার চক্রান্ত হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাক্তন মুক্তিযোদ্ধা ও হাসিনা ঘনিষ্ঠ টানা একদশকের রাষ্ট্রপতি হামিদ নিয়ম মেনে বৈধ কাগজপত্র দেখিয়েই ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন ব্যাংককে। তবুও তাঁর বিদেশযাত্রাকে অবৈধ ঘোষণা করে ইউনুস সরকার। বরখাস্ত করা হয় দুই অফিসারকে। একমাস পরে যখন ফিরে এলেন ঢাকায়, তখন তাঁর শরীরের ওজন প্রায় অর্ধেক। কারও সাহায্য ছাড়া দাঁড়ানোর ক্ষমতাটুকু পর্যন্ত নেই। ৮ মে ঢাকা থেকে ব্যাংককে রওনা হওয়ার সময়ও কোনওরকমে লুঙ্গি এবং ফতুয়া পরে উঠতে পেরেছিলেন বিমানে। অদ্ভুত ব্যাপার, গুরুতর অসুস্থ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির অন্য দেশে চিকিৎসা করানো নিয়েও ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যাচার ও জলঘোলা করে ইউনুস অনুগত ছাত্ররা। গুজব ছড়ায়, চেহারা লুকিয়ে দেশ ছেড়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। অথচ কম ভাড়ার কারণেই মধ্যরাতের বিমান ধরেছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু সঠিক সময়ে ফিরে আসার পরেও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, খুনের মিথ্যা মামলায় তাঁকে জেলে পাঠানোর ষড়যন্ত্র করছে ইউনুসের সরকার। গত ৫ অগাস্ট হাসিনা জমানার এই রাষ্ট্রপতির কিশোরগঞ্জের বাড়িতে হামলা চালায় মৌলবাদী জনতা। ব্যাপক ভাঙচুর করে আগুন লাগানোরও চেষ্টা হয়। তবে এই ঘটনার কোনও প্রতিবাদ প্রকাশ্যে জানাননি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু তারপরেও তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল আরও বড় ধাক্কা, মিথ্যা অপবাদ। কিছুদিনের মধ্যেই ঢাকা এবং কিশোরগঞ্জে খুনের মামলা দায়ের করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির (abdul hamid) চিকিৎসার দায়িত্ব সেদেশের সরকারের হলেও তাঁর ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না কোনও প্রোটোকলই। উল্টে চূড়ান্ত অসম্মান ও হেনস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-নিউইয়র্ক এয়ারপোর্টে ভারতীয় পড়ুয়াকে হাতকড়া পরিয়ে বিতাড়ন