প্রতিবেদন: চূড়ান্ত রাজনৈতিক প্রতিহিংসা! বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফাঁসিতে ঝোলাতে তৎপর অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকার। ইউনুসের সরকারের অভ্যন্তরে পাকিস্তান আর জামাতের দালালরা গণহত্যার সাজার নাম করে অসংখ্য ভুয়ো মামলায় ইতিমধ্যেই যুক্ত করেছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের। বঙ্গবন্ধু-কন্যাকে ফাঁসিতে ঝোলানোর হুমকি সেই চক্রান্তেরই অংশ।
ঢাকায় সফররত রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান ফলকার টুর্ককে ইউনুস সরকারের শীর্ষ প্রতিনিধিরা হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের কথা জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। বলা হয়েছে, অগাস্টের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় যাদের নামে মামলা হয়েছে তারাও রেহাই পাবে না। তাদেরও শেষ পরিণতি মৃত্যুদণ্ড। শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
আরও পড়ুন-মাস্কের এক্স ঘিরে অভিযোগ, ফেক নিউজে বিপুল রোজগার! ভোটমুখী আমেরিকা
এই বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে বৈঠক হয় রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধির। বৈঠকে টুর্ক জানতে চান, জুলাই-অগাস্টে গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের কী ধরনের শাস্তির কথা ভাবছে অন্তর্বর্তী সরকার? তখনই আইন উপদেষ্টা জানিয়ে দেন, গণহত্যায় জড়িত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সঙ্গীদের ফাঁসিতে ঝোলানো হবে। মৃত্যদণ্ড বাদে অন্য কোনও সাজার কথা ভাবা হচ্ছে না। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধানকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে আওয়ামি লিগ সরকার হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে খুন করেছে, তাদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ওই সাজা বাতিল করার প্রশ্নই আসে না। এটা প্রত্যাশা করাও উচিত নয়। শেখ হাসিনাকে দেশে এনে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি। যদিও অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টার মন্তব্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে না ভারত। পাশাপাশি বিচারের আগেই কার্যত রায় ঘোষণা করে ইউনুস সরকার বুঝিয়ে দিয়েছে, ভুয়ো মামলায় প্রহসনের বিচারে হাসিনাকে হেনস্থা করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য।