প্রতিবেদন : যুবভারতীর ঘটনায় বিরোধীদের তোলা ইডি বা সিবিআই তদন্তের দাবি খারিজ করে দিল হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেইসঙ্গে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত নয়, পুলিশি তদন্তে হস্তক্ষেপ করছে না কোর্ট। সোমবার যুবভারতীর ঘটনার শুনানিতে তথ্য তুলে জোরালো সওয়াল করেন আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণ স্পষ্ট ভাষায় জানান, রাজ্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেনি। আয়োজক বেসরকারি সংস্থা। ফলে কোনওভাবেই রাজ্যকে দায়ী করা যায় না। বেসরকারি সংস্থাটি ৬ নভেম্বর আবেদন করে এবং ৭ নভেম্বর রাজ্য জানায় অনুষ্ঠানের দিন ১৩ ডিসেম্বর। ঘটনা হল, এরপর আয়োজকদের কাছ থেকে অনুষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু লিখিত কিছুই দেওয়া হয়নি। মৌখিকভাবে জানানো হয়। মেসিকে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দিয়েছিল কেন্দ্র। ফলে নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল না রাজ্যের। মেসির সঙ্গে ক’জন সিআইএসএফ আধিকারিক থাকবেন সেটাও রাজ্যকে জানানো হয়নি। এমনকী রাজ্য পুলিশের সঙ্গে কীভাবে সমন্বয়সাধন করা হবে তা সিআইএসএফ জানায়নি।
আরও পড়ুন-বাবা-ছেলে খুনে দোষী সাব্যস্ত ১৩, দ্রুত চার্জশিটে কৃতিত্ব পুলিশের
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, মেসির সঙ্গে মাঠে প্রচুর মানুষকে দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে সমস্যা শুরু। কল্যাণ তথ্য দিয়ে জানান, অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশের কাছ থেকে ৪০০টি পাস চেয়েছিল শতদ্রুর টিম। সেটা দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল ২৭টি ক্লোজ প্রক্সিমিটি পাস। অর্থাৎ মাঠের মধ্যে যাদের দেখা গিয়েছিল তারা যে শতদ্রুর দেওয়া পাস নিয়েই মাঠে ঢুকেছিল, তা স্পষ্ট করে দেন কল্যাণ। কল্যাণ আরও বলেন, মাঠে জলের বোতল নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পুলিশ দেয়নি। তা সত্ত্বেও জলের বোতল ঢুকেছিল। তার দায় শতদ্রুর টিমের। কল্যাণ বলেন, মাঠে যা ঘটেছিল তা দুর্ভাগ্যজনক। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা চেয়েছেন। আরও কোনও মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী এই ভূমিকা দেখাতে পারেননি। রাজ্য ডিজি-সহ একাধিক পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে। তদন্তকারী দল তৈরি করে ঘটনার অনুসন্ধান শুরু করেছে। কল্যাণের সওয়ালের পর ১৭ পাতার রায়ে আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তদন্ত চলছে। আপাতত তা প্রাথমিক পর্যায়। এই অবস্থায় সিবিআই তদন্তের প্রশ্ন ওঠে না। পুলিশি তদন্তের উপর হস্তক্ষেপ করছে না আদালত। ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। কল্যাণ জানিয়েছেন, যেহেতু আয়োজক ছিল বেসরকারি সংস্থা, তাই টিকিটের দাম ফেরত দিতে হলে তাদেরই দেওয়া উচিত।

