প্রতিবেদন : রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটানা দশদিন ধরে যুদ্ধ চলছে। প্রতিদিনই যুদ্ধে ইউক্রেনের বহু সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। নিরীহ মানুষের প্রাণহানিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে শনিবার ন্যাটোর ভূমিকার কড়া সমালোচনা করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি বলেন, রুশ হামলায় এখন থেকে যে সমস্ত ইউক্রেনবাসী মারা যাবেন তাঁদের মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবে ন্যাটো।
আরও পড়ুন-টলিউড অভিনেত্রীকে বিজেপির কুৎসা
ইউক্রেনের আকাশে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি না করে ন্যাটো কর্তারা এই দেশের শহর ও গ্রামে আরও বোমাবর্ষণের জন্য রাশিয়াকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন। অথচ তাঁরা মনে করলেই ইউক্রেনের আকাশকে নো-ফ্লাইং জোন হিসেবে ঘোষণা করতে পারতেন। সেক্ষেত্রে ইউক্রেনের বহু মানুষের প্রাণ বেঁচে যেত। প্রশ্ন, জেলেনস্কি কেন এভাবে ন্যাটোকে কাঠগড়ায় তুললেন? কারণ এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনকে পুরো দখলে আনতে না পেরে গত কয়েকদিন আকাশপথেই সেদেশে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। রুশ বিমান যাতে হামলা চালাতে না পারে সেজন্য ন্যাটোর কাছে ইউক্রেনের আকাশকে নো-ফ্লাইং জোন ঘোষণার আবেদন করেছিলেন জেলেনস্কি। যদি ন্যাটো ইউক্রেনের আকাশকে নো-ফ্লাইং জোন বলে ঘোষণা করত এবং তার পরেও রাশিয়া সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হামলা চালাত তাহলে নিশ্চিতভাবেই মস্কো আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করার দায়ে অভিযুক্ত হত।
আরও পড়ুন-মাধ্যমিকে নকল বন্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার
কিন্তু জেলেনস্কির ওই আবেদন খারিজ করেছে ন্যাটো। ন্যাটোর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে আমেরিকা। আমেরিকার যুক্তি, এই আর্জি মানলে গোটা ইউরোপে সরাসরি যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারত। সে কারণেই ন্যাটো জেলেনস্কির আবেদন মেনে নেয়নি। ক্ষুব্ধ জেলেনস্কি এরপর বলেন, ন্যাটোর এই বক্তব্যেই প্রমাণ হচ্ছে তারা রাশিয়ার তুলনায় অনেকটাই দুর্বল। সেকারণেই তারা মস্কোকে ভয় পাচ্ছে। যদিও ন্যাটোর কাছে ইউক্রেনের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী অস্ত্র রয়েছে।