প্রতিবেদন: তিনি বাংলায় প্রদেশ কংগ্রেসের অধীশ্বর। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা। এরাজ্যে দলের প্রদেশ সভাপতির পদে পর দলটাকে নিজের দায়িত্বে শূন্যে নামিয়েছেন। সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধীতা করতে গিয়ে কংগ্রেস দলটাকেই প্রায় তুলে দিয়েছেন। নিজের অস্থিত্ব রক্ষায় এখন টিভিই তার ভরসা। তিনি অধীর চৌধুরি বাংলায় টিভি কংগ্রেসের সভাপতি এবার বাদ পড়লেন দলের হাইকমান্ডের তৈরি করা কমিটি থেকে।
আরও পড়ুন-পেট কেটে বের হল ৮ কেজি টিউমার
কংগ্রেসকে জাতীয় স্তরে প্রাসঙ্গিক ও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব পলিটিক্যাল আফেয়ারস, টাস্কফোর্স- ২০২৪, সেন্ট্রাল প্ল্যানিং গ্রুপ। এছাড়াও এক্স অফিসিও সদস্য গ্রুপ তৈরি করে দিয়েছেন। এর একটিতেও জায়গা হয়নি অধীর চৌধুরীর। এর মধ্যে দিয়ে পরিস্কার কংগ্রেস নেতৃত্ব অধীর চৌধুরীর ওপর আর ভরসা রাখতে পারছেন না। অদূর ভবিষ্যতে এরাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদটিও তার থাকলে হয়। কংগ্রেসের নতুন তৈরি কমিটি গুলিতে যারা রয়েছেন তারা দলের সংগঠন, নীতি নির্ধারণ, সাব কমিটি তৈরি করে দায়িত্ব বন্টন ও দলীয় মুখপাত্রের কাজ করবে। ২০২৪ এর দিকে তাকিয়ে উদয়পুরের নব সংকল্প শিবির থেকে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। দলের এই ভিশনের কোনও অংশে রাখা হয়নি অধীরকে।
আরও পড়ুন-রঙিন ইডেনে ক্রিকেট ফিরল আগের মেজাজেই
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সাধারণত তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রোজ টিভি ক্যামেরার সামনে বিষোদগার করা আর সিপিএমের হাতে কংগ্রেস দলটাকে বিক্রি করে দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও কাজ করেন নি সাম্প্রতিক অতীতে। কারণ অধীর চৌধুরী ও তার সহযোগীদের সৌজন্যে এরাজ্যে কংগ্রেসে একাধিক লবি তৈরি হয়েছে,যার নিয়ন্ত্রণ অধীরের হাতে নেই। আগামী ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে নিজের আসনে জিতবেন কি না সে নিশ্চয়তাও নেই। ফলে স্বাভাবিক অঙ্কেই কংগ্রেস নেতৃত্বের ভিশন ২০২৪ এর পরিকল্পনা থেকে বাদ পড়েছেন অধীর। অতএব এখন মাথায় হাত দিয়ে নিজের অপকর্মের জন্য বিলাপ করা ছাড়া আর উপায় কি।