সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের সাফ বার্তা ভারতের। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে এটা স্পষ্ট। তাই পাকিস্তানের পাশে থাকা মানে জঙ্গি সংগঠন ও সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা। সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলে দাঁড়িয়ে সংসদীয় দলের প্রতিনিধি তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জানান, বাড়ির উঠোনে সাপের জন্ম হয়েছে বলে অই পরিবারের কাউকে সে ছোবল মারবে না, শুধু প্রতিবেশীকেই কামড়াবে এমনটা ভেবে থাকলে তা ভুল। আর পাকিস্তানকে সাহায্য করলে আদতে তা সন্ত্রাসবাদীদেরই সহায়তা করা।
বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে উপমহাদেশে ঘুরছে সংসদীয় প্রতিনিধি দল। এদিন সন্ধেয় অভিষেক (Abhishek Banerjee) এক্সে লিখেছেন, “ভারতের সর্বদলীয় সংসদীয় দলের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ বিশ্বজুড়ে জঙ্গি দমনের বার্তাকে আরও এগিয়ে নিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছে। প্রতিনিধিদল কোরিয়া-ভারত সংসদীয় বন্ধুত্ব গোষ্ঠীর চেয়ারপারসন ইউন হো-জং-এর সঙ্গে দেখা করেছে। পহেলগাঁওয়ে হামলার পর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের নীতিগত এবং আপোষহীন অবস্থান সম্পর্কে তাঁকে জানানো হয়েছে। আমরা জানিয়েছি যে ভারত সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের আশ্রয়দানকারী রাষ্ট্রগুলির মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। ভারত অপরাধী এবং সহায়তাকারীদের বিচারের জন্য বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা চায়।
আরও পড়ুন- পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি! জ্যোতির ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত
আমরা কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, নীতি গোষ্ঠী এবং ইন্ডিয়া স্টাডিজ সেন্টারের বিশিষ্ট এবং প্রবীণ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আলোচনাগুলি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে বিশ্বব্যাপী যৌথ পদক্ষেপের নৈতিক তাগিদ এবং কীভাবে ভারতের মতবাদ – নিয়ন্ত্রণ, নীতি এবং সমাধান দ্বারা পরিচালিত – এই ক্ষেত্রে একটি নমুনা হিসেবে কাজ করতে পারে সে সম্পর্কে আমি কথা বলেছি। আমাদের কোরিয়ান প্রতিপক্ষদের তাদের দৃঢ় সংহতি এবং সমর্থনের জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই।
আমাদের প্রতিনিধিদল সেদেশের বিদেশমন্ত্রী চো তাই-ইউল- এর সঙ্গেও দেখা করেছে। যেখানে আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা জানিয়েছি। সন্ত্রাসবাদকে নির্বাচনী নৈতিকতার মাধ্যমে দেখা যায় না। যারা সন্ত্রাসবাদকে ন্যায্যতা দেয়, রক্ষা করে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।”