নিউ আলিপুর থানার চার জন সাব ইনস্পেক্টরকে (SI) সাসপেন্ড করা হয়েছে। নিউ আলিপুর থানা এলাকায় রাস্তায় পর পর দাঁড়িয়ে থাকে একাধিক ট্রাক। অভিযোগ ওখানে দাঁড়িয়ে থাকা বহু ট্রাকের কাঁচ ভেঙেছেন এই চারজন পুলিশ আধিকারিক। অভিযোগ পাওয়ার পর ওই চার জনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানা গিয়েছে। ডিসি দক্ষিণ এই ঘটনার বিষয়ে জানিয়েছেন, কেন ট্রাকের কাঁচ ভেঙে ফেলা হল সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের সাসপেন্ড করে বিষয়টির তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন-সাতসকালে জোরাল ভূমিকম্পে কাঁপল রাজধানী
নিউ আলিপুর রেলওয়ে সাইডিং এর কাছে বহু ট্রাক পর পর দাঁড়িয়ে থাকে। রাতে অনেক চালকেরা ট্রাকের ভিতরে ঘুমোন। অভিযোগ করা হয় এই ট্রাকগুলির কাছে এসে বেশ কয়েক দিন ধরেই রীতিমত তাণ্ডব চালাচ্ছে পুলিশ। গাড়ির কাঁচ ভাঙা হচ্ছে, দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে, ঘুমন্ত অবস্থায় ট্রাকচালকদের মারধর করা হচ্ছে। অত্যাচার অতিরিক্ত মাত্রায় পৌঁছনোর পরেই ট্রাক চালকদের সংগঠন নিউ আলিপুর লরি অ্যাসোসিয়েশনের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। গত তিন-চার দিন ধরে এই উৎপাত চলছে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনা মাত্রাতিরিক্ত অবস্থায় পৌঁছনোর ফলে ট্রাক চালকদের সংগঠনের তরফে অভিযোগ করা হয়। থানায় জানানো হয়েছে, প্রতি দিন রাত সাড়ে ১১টা-১২টা নাগাদ বিনা কারণেই অত্যাচার করে পুলিশ। মদ খেয়ে আসে অনেকেই। লরির কাঁচ ভাঙা হয়। মঙ্গলবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। অনেক চালক যাঁদের ঘরবাড়ি নেই তারা ট্রাকের ভিতরেই রাতে ঘুমোন। সেখানে ঢুকে পুলিশ মারধর করছে। তবে তাঁরা জানান পুলিশকর্মীরা কোনও টাকা তাঁদের কাছে চাননি।
আরও পড়ুন-ট্র্যাকে খোলা স্লিপার, বড়সড় দুর্ঘটনা এড়াল লোকাল ট্রেন
সংগঠনের অভিযোগের ভিত্তিতে নিউ আলিপুর থানার চার এসআইকে চিহ্নিত করা হয়েছে লালবাজারের তরফে। তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। কেন তাঁরা এই আচরণ করেছেন সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন অনুমতি ছাড়াই এই ট্রাক রাখা হয় ওই স্থানে যার ফলে বাসিন্দাদের অনেকরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।