১০ লক্ষ কুইন্টাল ধানক্রয় মুর্শিদাবাদ জেলা

অন্যান্য বছরের তুলনায় মুর্শিদাবাদ জেলায় ফড়েদের দৌরাত্ম্য অনেকটাই কমেছে। তাদের নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে কম

Must read

কমল মজুমদার, জঙ্গিপুর:‌ অন্যান্য বছরের তুলনায় মুর্শিদাবাদ জেলায় ফড়েদের দৌরাত্ম্য অনেকটাই কমেছে। তাদের নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে কম। খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৯ লক্ষ ১২ হাজার ৬৫ কুইন্টাল ধান কেনা হয়েছে। ৫৫ হাজার ১৬২ জন কৃষক। সিপিসিগুলিতে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার ৫৭১ কুইন্টাল ধান কেনা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলিতে ২৪ হাজার ২৩৫ জন কৃষক ধান বিক্রি করেছেন। সিইএসসি ৩ লক্ষ ১০ হাজার ৮৬ কুইন্টাল ধান কিনেছে।

আরও পড়ুন-উদয়নারায়ণপুরে দু’দিন বন্ধ দোকান

এছাড়া বেনফেড, কনফেডও কিনেছে। করোনা বিধি চালু থাকলেও ক্যাম্পগুলি থেকে ধান কেনা চলবে। জেলার ফুড কন্ট্রোলার সুদীপ সামন্ত বলেন, চাষিরা উপযুক্ত নথি দেখালেই ক্যাম্পে ধানবিক্রি করতে পারবেন। তবে ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন চাষিরা। সুতি থানার নজরুল ইসলাম বলেন, ১৫ কিলোমিটার দূরে সরকারি উদ্যোগে ধান কেনা হচ্ছে। এত দূরে গিয়ে ধানবিক্রি করা ছোট চাষীদের কাছে সমস্যার। পরিবহন খরচ রয়েছে। ফড়েরা চাষীদের বাড়ি থেকে ধান কিনে নিচ্ছে। তাই দাম কম দিলেও চাষিরা তাদেরকেই ধান বিক্রি করছেন। ফড়েরা কৌশলে সেই ধান সরকারি ক্যাম্পে বিক্রি করছে।

প্রকৃত কিছু চাষিকে দিয়ে নাম নথিভুক্ত করিয়ে কিছু কমিশন দিচ্ছে। ফলে ফড়েদের ধরা কঠিন। তবে অন্য বছর ফড়েদের লোকজন আগে গিয়ে কুপন তুলে নিয়ে তারাই বেশি ধান বিক্রি করত। এ বছরও তারা সরকারি ক্যাম্পে ধান বিক্রি করলেও চাষিরা সুবিধা পাচ্ছেন। সে কারণেই অভিযোগ কম আসছে।

Latest article