কু-কথার জের, কমিশনে তৃণমূল কংগ্রেসের ১০ প্রতিনিধি

দিলীপের প্রার্থিপদ খারিজের দাবি, হিরণের অসভ্যতা, কমিশনে তৃণমূল

Must read

প্রতিবেদন : বিজেপি একটি নারীবিদ্বেষী দল। আর এই দলের প্রতিনিধি হয়ে দিলীপ ঘোষ মহিলাদের উদ্দেশে অপমানজনক ও কুরুচিকর মন্তব্য করাকে স্বভাবে পরিণত করেছেন। তিনি দেবী দুর্গা থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী— কাউকেও ছাড়ছেন না, তাঁদের নিয়ে কদর্য মন্তব্য করে চলেছেন। মেদিনীপুর থেকে ঘাড়ধাক্কা খেয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুরে প্রার্থী হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর পিতৃপরিচয় নিয়ে নিন্দনীয় মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর সেই কুকথার প্রতিবাদে বুধবার নির্বাচন কমিশনে (Election Commission) গিয়ে কঠোর শাস্তির দাবি তুলল তৃণমূল। এক-আধবার নয়, বারবার মহিলা জাতিকে অপমান করেছেন দিলীপ, তাই তাঁকে আর ক্ষমা নয়। এবার কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক। এদিন তাঁর প্রার্থিপদ খারিজের দাবি তোলে তৃণমূল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে তৃণমূল প্রতিনিধিরা দাবি জানান, ন্যূনতম সাত দিনের সাসপেনশনের নির্দেশ দিতে হবে বিজেপির বর্ধমান-দুর্গাপুরের প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে। শুধু শোকজের চিরাচরিত প্রথায় হাঁটলে হবে না। তৃণমূলের নালিশের পর যথারীতি নির্বাচন কমিশন শোকজের নোটিশ পাঠায় দিলীপ ঘোষকে।

বুধবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের ১০ জনের প্রতিনিধি দল। সেই দলে সাতজন মহিলা প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন সাংসদ মালা রায়, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা, সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, বসুন্ধরা গোস্বামী, সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় ও সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাংসদ নাদিমুল হক, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, দিলীপ ঘোষ ‘সিরিয়াল অফেন্ডার’ হয়ে গেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ মহিলাদের ধারাবাহিকভাবে কদর্য আক্রমণ করছেন। এটা ওঁর স্বভাবে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। মডেল কোড অফ কন্ডাক্টকে অমান্য করেছেন দিলীপ। চিফ ইলেক্টোরাল অফিসারকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে এবং কড়া শাস্তির দাবিও করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর টাকা ফেরানোর ভাঁওতা

তৃণমূলের দাবি, একজন প্রার্থী হয়ে আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে তিনি যে অপরাধ করেছেন, তার বিরুদ্ধে কমিশন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিধান করুক। ব্রাত্য বসু জানান, দিলীপ ঘোষ বলেছেন যে তৃণমূল মহিলাদের নিয়ে ট্রাম্প কার্ড খেলছে। যে দল আসানসোলে পবন সিংয়ের মতো প্রার্থীকে দাঁড় করাবার সিদ্ধান্ত নেয়, তারা যে চূড়ান্ত নারীবিদ্বেষী সেটা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। যেভাবে বাঙালি মহিলাদের ধারাবাহিকভাবে অসম্মান করেন দিলীপ ঘোষ এটা নিন্দনীয়। বিজেপি সমগ্র নারী জাতিকে অপমান করছে বলে জানান শশী পাঁজা। কুণাল ঘোষ বলেন, দিলীপ ঘোষকে বিজেপির শোকজ আসলে বাংলার মানুষের নজর ঘোরাতে পদ্ম শিবিরের নাটক। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) কড়া পদক্ষেপ করুক। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় ও মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি দিল্লিতে মু্খ্য নির্বাচন কমিশনারের অফিসে নালিশ জানানোর কথা জানায় তৃণমূল।

Latest article