প্রতিবেদন: স্পষ্টতই প্রতিহিংসার রাজনীতি। তৃণমূলের সঙ্গে পেরে উঠতে পারবে না বুঝতে পেরেই নতুন চক্রান্ত বিজেপির। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করার অভিযোগে তৃণমূলের ১০ সাংসদ ও নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল অমিত শাহর দিল্লি পুলিশ। শুধু মামলা দায়ের নয়, তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, রাজ্যসভার আরও ৪ সাংসদ সাগরিকা ঘোষ, দোলা সেন, নাদিমুল হক, সাকেত গোখেল এবং অর্পিতা ঘোষ, সুদীপ রাহা-সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিটও পেশ করেছে দিল্লি পুলিশ। তারই ভিত্তিতে ওই ১০ সাংসদ এবং তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে সমন জারি করল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, এটা আসলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। মঙ্গলবার মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভায় ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, সেই গতবছর দিল্লিতে একটা কর্মসূচি করেছিলেন আমাদের সাংসদরা। এই তো খবর পেলাম, তাঁদের নাকি এখন সমন পাঠিয়েছে আদালত। এসবই করছে কেন্দ্রের সরকার।
আরও পড়ুন-জল জীবন মিশন, ৪৬% বরাদ্দ ছাঁটাই করল কেন্দ্র
এক বছর আগের ঘটনা। ২০২৪-এর এপ্রিলে নির্বাচন সদনের সামনে অবস্থানে বসেছিলেন তৃণমূলের সাংসদ এবং নেতারা। সিবিআই, ইডি, এনআইএ এবং আয়কর দফতরের প্রধানদের অপসারণের দাবিতেই এই অবস্থান বিক্ষোভ। নির্বাচনের আগে বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে ওই ৪ এজেন্সির অপব্যবহার করছে বলে অভিযোগ এনেছিল তৃণমূল। স্বাভাবিকভাবেই ঘুম ছুটে গিয়েছিল বিজেপি শীর্ষনেতৃত্বের। গণতন্ত্রের লড়াইয়ে তৃণমূলের সঙ্গে পেরে উঠতে না পেরে গায়ের জ্বালা মেটাতে শুরু হয় গেরুয়া চক্রান্ত। পুলিশ অজুহাত দেখায়, ওই কর্মসূচিতে পুলিশের আগাম অনুমতি ছিল না। ছিল নিষেধাজ্ঞাও। একবছর পরে বিজেপি ব্যস্ত হয়ে পড়ল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে। আদালতে শুনানি হওয়ার কথা ৩০ এপ্রিল। ওইদিনই হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তৃণমূলের ১০ সাংসদ এবং নেতাকে।