প্রতিবেদন : লোকসভা ভোটের মুখে গ্যাসের (LPG Gas Price) দাম কমিয়ে ফের একবার মানুষকে বোকা বানাতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি সরকারের এই পদক্ষেপকে তীব্র কটাক্ষ করল তৃণমূল। ভোটের আগে গ্যাসের দাম কমানোর সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধোনা করে তৃণমূল জানাল, উনি আসলে ইলেকশন মিনিস্টার অর্থাৎ ‘নির্বাচন মন্ত্রী’। নির্বাচন এলেই ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, ভোটের সময় এসব নাটক। এখন ১০০ টাকা কমিয়েছে। ভোট মিটে গেলে ৩০০ টাকা বাড়িয়ে দেবে। গ্যাসের দাম এতটা বাড়ল কেন, আগেই দাম বাড়িয়ে টাকা তুলে নিয়েছেন। এখন ভোটের সময় দাম কমিয়ে দিয়ে মানুষকে প্রলোভন দেখাচ্ছেন। তৃণমূল ক্ষমতায় এলে ৫০০ টাকা দাম কমাবে।
আরও পড়ুন- মহিলা পরিচালিত সাব-স্টেশন, নারীদিবসে অরূপের নেতৃত্বে নতুন কীর্তি
ভোট এলেই প্রধানমন্ত্রীর গ্যাসের দাম (LPG Gas Price) কমানোর মতো সিদ্ধান্ত আসলে একটি জুমলা। দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী দরকার ছিল, তার বদলে দেশ পেয়েছে একজন নির্বাচন মন্ত্রীকে। এভাবেই তৃণমূল কটাক্ষ করেছে প্রধানমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে। লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ ও নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার ঠিক আগে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম নামমাত্র কমিয়ে মহিলা ভোটারদের প্রলুব্ধ করার অশুভ ফাঁদ পাতলেন প্রধানমন্ত্রী। এই মর্মে শুক্রবার তীব্র সমালোচনা করে তৃণমূল কংগ্রেস দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, নারীবিদ্বেষী মোদি সরকারের মুখোশ খুলে গিয়েছে। বিজেপির জমিদাররা যে ভোট প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতেই গ্যাসের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তৃণমূল সাংসদরা সাফ জানিয়েছেন, বিজেপির ভুল নীতি নির্ধারণের জন্য গত পাঁচবছরে মুদ্রাস্ফীতি আকাশ ছুঁয়েছে। বিজেপির নির্বাচনী পরিকল্পনার জন্য গত সাতমাস ধরে সাধারণ পরিবারগুলির উপর অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা চাপছে।
রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে বলেন, গত বছরের রাখি বন্ধন উত্সববের দিন প্রথমে রান্নার গ্যাসের দাম যৎকিঞ্চিৎ কমানো হয়েছিল, তার সাতমাস পর আন্তর্জাতিক নারীদিবসের দিন ভোটের প্রলোভন দেখাতে গ্যাসের দাম কমালেন। সরকার যদি রান্নার গ্যাসের দাম কমাতে প্রকৃত অর্থে উদ্যোগী হত তাহলে সাত মাস অপেক্ষা করত না। রাজ্যসভার আর এক সাংসদ সাগরিকা ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, বিশ্বব্যাপী দাম কম থাকা সত্ত্বেও, মোদি সরকার দাম কমানোর প্রয়োজন মনে করেনি। মানুষের ভার কমাতে দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী দরকার ছিল, কিন্তু আমাদের দেশ পেয়েছে একজন নির্বাচন মন্ত্রীকে।