সুস্মিতা মণ্ডল, মন্দিরবাজার: কালীপুজোর প্রাচীন ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে দক্ষিণ বিষ্ণুপুরের মহাশ্মশানের প্রাচীন শ্মশানকালী মন্দির। এখনও এখানে ১০৮টি অপঘাতে মৃত নরমুণ্ড দিয়ে তন্ত্রমতে চলে মায়ের পুজো। আদিগঙ্গার পাড়ে অবস্থিত শ্মশানে আগে ভিড় জমাতেন তান্ত্রিক ও সাধকরা। শবসাধনায় বসতেন অনেকে।
আরও পড়ুন-শোষক পোকার হানা থেকে আমন চাষ বাঁচাল ভারী বৃষ্টি
স্থানীয়দের বিশ্বাস, শবসাধনার ফলে আজও রাতের অন্ধকারে জেগে ওঠে এই মহাশ্মশান। ঘোরাফেরা করে মৃতদের আত্মা। এই পুজোর সূচনা করেন সাধক মণিলাল চক্রবর্তী। তাঁর উত্তরসূরি সাধক শ্যামল চক্রবর্তী এখন শ্মশানের দায়িত্ব সামলান। আজও কালীপুজোর রাতে তন্ত্রমতে পুজো হয় এখানে। সন্ধ্যার পর শ্মশানে আগত প্রথম শবকে নিয়ে চলে শবসাধনা। মদ, কাঁচা মাংস ও ছোলা দিয়ে পুজো হয় ডাকিনী, যোগিনীর। দেওয়া হয় শিয়ালভোগ। গভীর রাতে সেবাইত মেতে ওঠেন শ্মশান জাগানোর খেলায়। ঘন জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত শ্মশানে ঢুকলেই গা-ছমছম করে ওঠে। দেবীমুর্তির পিছনে সাজানো আছে ১০৮টি নরমুণ্ড।