প্রতিবেদন : মণিপুরে (violence in Manipur) শান্তি ফেরাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জাতিদাঙ্গা অধ্যুষিত এই রাজ্যে শান্তি ফেরাতে শাহ যে সমস্ত পদক্ষেপ করেছিলেন সেগুলি যে সবই ভুল ফের তার প্রমাণ মিলল। হিংসা-বিধ্বস্ত মণিপুরে মঙ্গলবার রাতে গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালাল জঙ্গিরা। এই ঘটনায় মহিলা-সহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন ৩০ জন।
জানা গিয়েছে, অগ্নিগর্ভ মণিপুরের (violence in Manipur) পূর্ব ইম্ফলে কাংপোকি জেলার সীমানায় অবস্থিত খামেলক গ্রামে নতুন করে এই হামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ খামেলক গ্রামের কুকি অধ্যুষিত এলাকা ঘিরে ফেলে আগুন লাগিয়ে দেয় মেইতেই সম্প্রদায়ের লোকজন। আগুনের হাত থেকে কোনওভাবে প্রাণ বাঁচান কুকিরা। বিষয়টি সাময়িক মিটে গেলেও রাত ১টা নাগাদ মেইতেই অধ্যুষিত গ্রামে পাল্টা হামলা শুরু করে কুকি জঙ্গিরা। এই হামলায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন প্রায় ৩০ জন। যার মধ্যে বেশিরভাগের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। যদিও বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যাটা কমপক্ষে ১৫। আহতরা সকলেই ইম্ফল হাসপাতালে ভর্তি। অশান্ত মণিপুরে এ পর্যন্ত প্রায় ১২০ জন মানুষের মৃত্যু হল। বেসরকারি মতে সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি। গৃহহীন প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ। রাজ্যের ১৬টি জেলার মধ্যে ১১টিতেই কারফিউ বলবৎ রয়েছে। পাশাপাশি ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ। অনেকেই মনে করছেন, মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনা মণিপুরের শান্তি ফেরানোর পথে একটি বড় ধাক্কা। পুলিশের দাবি, প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মঙ্গলবার রাতে খামেলক গ্রামে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র থেকে তারা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। ঘটনার সময় বেশিরভাগ গ্রামবাসীই ঘুমিয়েও পড়েছিলেন। তাই ওই আক্রমণের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি তাঁরা। উপদ্রুত এই রাজ্যে সেনা, আধাসেনা ও অসম রাইফেলসের জওয়ানরা সর্বদাই টহল দিচ্ছেন। তারপরেও কীভাবে এতবড় হামলা?
আরও পড়ুন- ‘বিশ্ব রক্তদাতা দিবস’-এ রক্তদান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের