সুস্মিতা মণ্ডল, নামখানা: মরশুমের প্রথম মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ল কয়েক টন রুপোলি শস্য। গত শুক্র ও শনিবার দু’দিনে কাকদ্বীপ ও নামখানা মৎস্যবন্দরে প্রায় ১১০ টন ইলিশ নিয়ে ফিরেছে বেশ কিছু ট্রলার। নামখানা ও কাকদ্বীপ বন্দরে ট্রলার থেকে সেই ইলিশ খালি হওয়ার পর চলে আসে ডায়মন্ডহারবারে। শনিবার সন্ধ্যায় জেলার বৃহত্তম ডায়মন্ডহারবার নগেন্দ্রবাজার মৎস্য আড়তে আড়তে নিলাম হওয়ার পর পৌঁছে যাবে রাজ্যের বাজারগুলিতে। রবিবার কলকাতা সহ জেলার বাজারে মিলবে সেই ইলিশ।
আরও পড়ুন-তালিবানি শাসনে সাংবাদিকতা ছেড়ে ফুটপাতে খাবার বিক্রি মুসার
বর্ষার আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ইলিশ পাতে পড়তে চলেছে ভোজনপ্রিয় বাঙালির। কাকদ্বীপ ও নামখানার মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়া ইলিশের গড় ওজন পাঁচশো গ্রাম থেকে সাতশো গ্রামে মধ্যে। পাইকারি বাজারে এই মাছের দাম ৫০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে। মরশুমের প্রথম ইলিশ হওয়ায় দামে একটু ছ্যাঁকা লাগতে পারে। মরশুমের প্রথমে সমুদ্রে ইলিশের সন্ধান মেলায় আশাবাদী মৎস্যজীবীরা। শনিবার থেকে গাঙ্গেয় উপকূলে বর্ষা প্রবেশ করেছে। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বাতাস বইছে। সদ্য পূর্ণিমার কোটাল শেষ হওয়ায় সমুদ্রের জলস্তর এখনও বেড়ে আছে। তার ফলে সমুদ্র উত্তাল আছে। যে কোনও সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। বিপদের আশঙ্কা থাকায় ট্রলারগুলি আবার নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছে। আবহাওয়ার উন্নতি হলে আবার মাছ ধরা শুরু করবে ট্রলারগুলি।
আরও পড়ুন-মানুষের পকেট কাটতে বৃদ্ধি স্বাস্থ্যবিমার টাকা
দীর্ঘ ২ মাস বন্ধ থাকার পর গত ১৫ জুন থেকে শুরু হয়েছে সামুদ্রিক মাছ ধরা। সেদিনই সুন্দরবনের কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি, সাগর থেকে ধাপে ধাপে হাজার দুয়েক ট্রলার রওনা দিয়েছিল। প্রথম ট্রিপে পঞ্চাশটির মতো ট্রলার মাছ পাওয়ায় আশা জেগেছে মৎস্যজীবীদের মনে। গত তিন বছর সেভাবে ইলিশ পাওয়া যায়নি। লোকসানের ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে ট্রলার মালিকদের। সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘‘এবছর শুরুতেই কিছুটা আশা জাগিয়েছে। কিছু ট্রলার মাছ পেয়েছে। ১১০ টনের বেশি ইলিশ বন্দরে নেমেছে। আরও ট্রলার ফিরবে মাছ নিয়ে ফিরবে পিছুপিছু। তবে সমুদ্র উত্তাল থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।’’