বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার: চা-বলয়ে উন্নয়ন এসেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। চা-শ্রমিকেরাও নির্বাচনের প্রচারেই তৃণমূলের প্রতি ভালবাসা উজাড় করে দিচ্ছেন। আলিপুরদুয়ারের প্রার্থী প্রকাশচিক বরাইক চা-বাগানে প্রচারে গিয়ে পেলেন জয়ের ইঙ্গিত। ১১১ চা-বাগান শ্রমিকরাই হাত নেড়ে, ফুলে মালা পরিয়ে জানিয়ে দিলেন তাঁরা প্রকাশকেই চান। উল্লেখ্য, জেলা সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই সবার প্রথমে চা-জেলার চা-বাগানে সংগঠন মজবুত করতে সংকোশ থেকে মেটেলি পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিন দৌড়ে বেড়িয়েছেন প্রকাশ। প্রতিটি চা-বাগানে তন্নতন্ন করে খুঁজেছেন সংগঠনের খামতি। সমস্যা ধরা পড়তেই দ্রুত সমাধানের পথ খুঁজে করেছেন সমাধান। এর ফলে সমস্যা জর্জরিত চা-শ্রমিকদের মুখে ফুটিয়েছেন হাসি।
আরও পড়ুন-আন্তরিকতায় বীরবাহাকে বরণ
টুকরো টুকরো সংগঠনকে জড়ো করে এনেছেন তৃণমূল নামক এক মজবুত ছাতার তলায়। এর মধ্যে দিয়ে ভরসা কুড়িয়েছেন চা-শ্রমিকদের। আর এরই ফল এবার হাতে তে পাচ্ছেন লোকসভা ভোটের প্রচারে বেরিয়ে। তাঁর কেন্দ্রের যে-বাগানেই যাচ্ছেন সেখানেই জনসমুদ্র তৈরি হচ্ছে। সাধারণ চা-শ্রমিকরা সহজেই বুঝতে পেরেছেন যে সারা বছর তাঁদের সুখ দুঃখে একমাত্র প্রকাশই ছিলেন। তাই সেই বিশ্বাসের ওপর ভরসা করে আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের ১১১টি চা-বাগানে মানুষের ঢেউ উঠেছে প্রকাশের আর জোড়াফুলের সপক্ষে। পূর্বের চাষ করা জমিতে প্রকাশ এই মুহূর্তে শুধু মাত্র বীজ বপণের কাজটুকু সারছেন। আর তাঁর হয়ে চা-শ্রমিকরা সেই বীজ কে পরিচর্যা করে আগামী চৌঠা জুন জয়ের ফসল তুলে দেবেন তৃণমূলের প্রকাশের হাতে। এই প্রসঙ্গে প্রকাশ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর জনকল্যাণকর প্রকল্পের সুবিধা আমরা চা-বাগানের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিয়েছি, মানুষ সবসময় আমাদেরই কাছে পেয়েছেন, তাই তাঁদের আশীর্বাদে আমার জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা।