ওয়ার্ডই আমার বৃহত্তর সংসার

Must read

সৌম্য সিংহ : ১১৯ নম্বর ওয়ার্ডই তাঁর চোখে বৃহত্তর সংসার। ওয়ার্ডের প্রতিটি বাসিন্দা সেই সংসারের অঙ্গ। নির্বাচনে জিতে সেই সংসারকেই তাই আরও সাজিয়ে-গুছিয়ে মেলে ধরতে চান তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কাকলি বাগ। সুখে-দুঃখে দাঁড়াতে চান প্রতিটি মানুষের কাছে। আদর্শ গৃহবধূ বলতে যা বোঝায়, তিনি ঠিক তাই। এতদিন নিপুণ হাতে সংসার সামলেছেন নিজের। সমাজসেবাও করেছেন। বিনাখরচে পড়িয়েছেন শিশুদের। এবারে রাজনীতির বৃহত্তর আঙিনায়। পুরনির্বাচনে নবাগতা প্রার্থী। জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি, আদর্শ, কর্মতৎপরতা বরাবরই তাঁকে আপ্লুত করেছে।

আরও পড়ুন : গোয়াকেও সমীহ করছে ইস্টবেঙ্গল

সেই আকর্ষণেই রাজনীতিতে আসা। ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকা থেকে শুরু করে রায় বাহাদূর রোড, বোস ডাক্তারের মোড়, সাবিত্রী স্কুল, পাঠকপাড়া, অজন্তা সিনেমার উল্টোদিকের পাড়াজুড়ে বিস্তৃত ১১৯ নম্বর ওয়ার্ড। রয়েছে বস্তি থেকে বহুতল। ভোটযুদ্ধে নবাগতা বলে ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে কাকলির প্রচার এবং জনসংযোগ। ঘুরছেন অলিতে-গলিতে, দরজায়- দরজায়। তুলে ধরছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের কথা, উন্নয়নের সাফল্য এবং রূপরেখা। কাকলির ভাষায়, ‘‘নতুন অভিজ্ঞতা। সকলের সঙ্গে মিশে, কথা বলে খুব ভাল লাগছে। মনে হচ্ছে তাঁদের জন্য অনেক কিছু করার আছে।’’ বেহালার এই ১১৯ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষেই রায় দিয়েছিল গত নির্বাচনে। উন্নয়নের কাজও এখানে হয়েছে ভালই। তবুও কয়েকটি জায়গায় এখনও জলজমার সমস্যা রয়ে গিয়েছে বলে জেনেছেন কাকলি। নির্বাচনে জিতে এই সমস্যার সমাধানই তাঁর কাছে অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। উন্নয়নই তাঁর স্বপ্ন। সেই কাজে কোনও ফাঁক রাখতে চান না মানুষের কাছে। এলাকার মানুষও তাঁর প্রতি ভরসা করেন।

Latest article