প্রতিবেদন : গ্রামের নাম ফুলগুড়ি নেপালি পাম। গ্রামবাসীদের সকলেই একটি পরিবারেরই সদস্য। আরও স্পষ্ট করে বললে, একটা গোটা গ্রাম জুড়ে রয়েছেন একই পরিবারের সদস্যরা। অসমের সোনিতপুর জেলার রঙ্গাপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের এই গ্রামটি সত্যিই যেন এক বিস্ময়। ২৫০০ জন ৩০০টি ছোট পরিবারে বিভক্ত হয়ে দিন গুজরান করলেও সকলেই কিন্তু একটিমাত্র বড় পরিবারের সদস্য।
আরও পড়ুন-গদ্দারকে মানহানির নোটিশ পার্থ ভৌমিকের
সামনের লোকসভা নির্বাচনে এই পরিবারের ১২০০ সদস্য প্রয়োগ করবেন ভোটাধিকার। পরিবারের প্রধানের নাম রণ বাহাদুর থাপা৷ তিনি ব্রিটিশ শাসনকালে অসমের ফুলগুড়িতে বসবাস শুরু করেন৷ পেশায় ছিলেন কৃষিজীবী৷ পরে এই জায়গার নাম হয় ফুলগুড়ি নেপালি পাম ৷ এই রণ বাহাদুরের পাঁচজন স্ত্রী— হরি মায়া থাপা, পবি মায়া থাপা, হরখা মায়া থাপা, কালী মায়া থাপা এবং খাজি মায়া থাপা৷ তাঁদের ১২ জন পুত্রসন্তান এবং কন্যাসন্তান ১০ জন৷ সময়ের হাত ধরে এই পরিবারই শাখাপ্রশাখা বিস্তার করেছে একটা গোটা গ্রামজুড়ে। ১৯৯৭ সালে মৃত্যু হয় রণ বাহাদুরের। নেপালি পামে এখন তাঁর উত্তরাধিকার বহন করে চলেছেন সবমিলিয়ে ৬৫ জন নাতি এবং ৭০ জন নাতনি। গ্রামের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন রণ বাহাদুরের এক সন্তান তিল বাহাদুর থাপা। এই বৃহৎ পরিবারের অভিভাবকের ভূমিকায় তিনিই। তাঁরই নেতৃত্বে ১৯ এপ্রিল ভোট দিতে যাবেন পরিবারের ১২০০ সদস্য। গ্রামের মানুষের কাছে এ এক অসাধারণ সুখানুভূতি।