প্রতিবেদন : রাজ্যে সারা বছর আলুর যোগান বাড়াতে নতুন হিমঘর তৈরির পাশাপাশি রাজ্য সরকার হিমঘরের ধারণক্ষমতা বাড়ানোর উপরও যোগ দিচ্ছে। রাজ্যে আলু মজুত রাখার জন্য ১৩ টি নতুন হিমঘর তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন আলুর মরশুম শুরু হওয়ার মধ্যেই যাতে এই হিমঘর গুলি নির্মাণের কাজে শেষ রাতে কৃষি বিপণন দফতর সেদিকে লক্ষ্য রেখেছে।
আরও পড়ুন-প্রতিশ্রুতি পূরণ অভিষেকের, আর্থিক সাহায্য পেলেন বঞ্চিতরা
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় আইন অনুযায়ী বর্তমানে আলু মজুত রাখার গুদাম ও হিমঘর গুলি সর্বোচ্চ ৪৯ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। এই উচ্চতা বাড়ানোর জন্য হিমঘর মালিকেরা দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছেন। এই দাবি মেনে হিমঘরের উচ্চতা সর্বোচ্চ ৫৮ ফুট পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে রাজ্যের কৃষি বিপণন দপ্তর। এই বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না দমকল মন্ত্রী সুজিত বোসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কারণ হিমঘরের উচ্চতা বাড়ানোর জন্য কৃষি দমকলের ছাড়পত্র প্রয়োজন। এজন্য বর্তমান দমকল আইনে বদল আনা হতে পারে। উল্লেখ্য রাজ্যের বর্তমানে আলু মজুত রাখার জন্য ৭৩টি হিমঘর রয়েছে, যার মধ্যে ৭১ টি কর্মক্ষম। চাষিদের সুবিধার্থে এ বারও রাজ্য সরকার হিমঘরে আলু মজুতের সময়সীমা বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন-ভিক্টোরিয়ার সামনে উনুন জ্বালানো নিষিদ্ধ করল কলকাতা হাইকোর্ট
চলতি মাস পর্যন্ত চাষিরা হিমঘরে আলু মজুত রাখতে পারবেন। তাঁরা নিজেদের সুবিধা মতো হিমঘর থেকে আলু বের করতে পারবেন। তবে সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে অন্যান্য ফসলের সঙ্গে আলু চাষেরও কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। যে কারণে নতুন আলু বাজারে আসা পর্যন্ত আলুর দাম কিছুটা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সম্প্রতি যে অকাল বৃষ্টি শুরু হয়েছিল তাতে আলুর বীজ কয়েক জায়গায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যা পরবর্তীকালে প্রভাব ফেলতে পারে উৎপাদনে। তবে এই সুযোগে ফড়েরা যাতে বেশি মুনাফার লোভে আলুর দাম বৃদ্ধির কারণ না হতে পারে সেদিকে কড়া নজর রাখছে রাজ্য।