আগরতলা : ভয় পেয়েছে ত্রিপুরার বিপ্লব দেব সরকার। ভয় তৃণমূল কংগ্রেসকে। ভয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ভয় পেয়েছে দ্য রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একের পর এক মিছিল বাতিলের জন্য অজুহাত খাড়া করে শেষ পর্যন্ত ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের পদযাত্রা রুখতে সরকারি নোটিশের সাহায্য নিতে হল বেচারা বিপ্লব দেবকে! ভয় এমনই বিষম বস্তু যে তা একবার যাকে ধরেছে, তাকে খুব সহজে ছেড়ে যায় না। ত্রিপুরা সরকার সেই কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে।
কিন্তু ঘটনা এটাই, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজ, বুধবার ত্রিপুরা আসছেন। বিজেপির উপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে বিশাল সংখ্যক নেতা-কর্মী তাঁর হাত থেকে পতাকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন। কথা হবে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে। এবং তারপর যা হবে তা ত্রিপুরাবাসীকে সঙ্গে নিয়েই হবে। সরকারি নোটিশ জারি করেছে ত্রিপুরা সরকার। কোভিডের কারণে ৪ নভেম্বর অবধি রাজ্য জুড়ে ১৪৪ ধারা!
আরও পড়ুন :স্পন্জ আয়রন শিল্পে শ্রমিকদের বাড়ল বোনাস
১৫ সেপ্টেম্বরেই তৃণমূল কংগ্রেসের পদযাত্রা বাতিল হয়েছিল। কারণ ছিল একটি দল নাকি আগে থেকেই রাজ্য জুড়ে মিছিলের অনুমতি নিয়ে রেখেছে। ডাহা মিথ্যাচার। একটা সরকার, তার পুলিশ প্রশাসন কতখানি অগণতান্ত্রিক, স্বৈরাচারী হতে পারে! ১৫ তারিখে কোনও মিছিল ত্রিপুরার রাস্তায় দেখা যায়নি। তৃণমূল কংগ্রেস এবার ১৬ তারিখ পদযাত্রা করতে চেয়ে চিঠি দিল। এবার ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজোর অজুহাত সামনে রেখে নিরাপত্তার কথা বলে বাতিল করা হল। কী দ্বিচারিতা! নির্লজ্জ বিজেপি। সামান্য বিশ্বকর্মা পুজোর নিরাপত্তা সামাল দিতে পারে না! এবার ২২ সেপ্টেম্বরের জন্য অনুমতি চাওয়া হল। ঝুলিয়ে রাখা চলল। তৃণমূল কংগ্রেস আগেই জানিয়েছিল, তারা এবার আইনের পথে যাবে।
কোর্ট ত্রিপুরা সরকারের মতামত জানতে চাওয়া হলো৷ মঙ্গলবার কোর্টে যাওয়ার আগে সোমবার রাতেই কোভিডের নামে কালা কানুন জারি হলো। রাজ্য জুড়ে ১৪৪ ধারা, তাও আবার ৪ নভেম্বর পর্যন্ত!ত্রিপুরা সরকারের এহেন কাজে রাজনৈতিক মহলে প্রবল সমালোচনা। বিরোধীরা বলছে, নির্লজ্জতার সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে সরকার। এরা গণতন্ত্রের কলঙ্ক। আর তৃণমূল কংগ্রেসের সাফ কথা, আফগানিস্তানে যারা তালিবান, ত্রিপুরায় তারা বিজেপি। মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন রাজ্য সরকার। বাংলার সরকারকে এরা নকল করেও বাঁচতে পারছে না। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা রাজ্যে এলে আক্রমণ করছে। গাড়ি ভাঙচুর করছে। মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। এটা আসলে একটা দলের ক্ষমতা হারানোর ভয়। জনবিচ্ছিন্নতার ভয়। আর এই ভয়ের কথার সুর ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতির জনসভায় বলা কথাটি ত্রিপুরায় নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে… ইয়ে ডর হামে আচ্ছা লাগা।