প্রতিবেদন : রাজ্যের প্রায় ১৫ লক্ষ মৎস্যজীবীকে বিমা প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে। এজন্য ১ নভেম্বর থেকে নাম নথিভুক্ত করার কাজ শুরু হচ্ছে। ওই দিন থেকে শুরু হওয়া দুয়ারে সরকার শিবিরে এই নাম তোলার আবেদন জানানো যাবে। মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরি জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে হাওড়া ও দুই মেদিনীপুরের মৎস্যজীবীদের এই বিমার আওতায় নিয়ে আসা হবে।
আরও পড়ুন-১২ বছর পর বাড়ল পার্কিং ফি
এই বিমার আওতায় এলে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মৎস্যজীবীর পরিবার ৫ লক্ষ টাকা পাবে। কেউ জখম হলে মৎস্যজীবীদের প্রায় ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা বাবদ খরচ পাবেন। কয়েকটি ক্ষেত্রে চিকিৎসার জন্য ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাওয়ার সংস্থান থাকছে। বিপ্লববাবু আরও বলেন, হাজার অর্থনৈতিক টানাটানি সত্ত্বেও সাধারণ মৎস্যজীবীদের কথা মাথায় রেখে এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। মৎস্যজীবীদের বলব, দুয়ারে সরকার শিবিরে এসে আপনারা নাম নথিভুক্ত করুন।
আরও পড়ুন-তৃণমূলপন্থীরা এগিয়ে
রাজ্য সরকারের সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বাংলার মৎস্যজীবীদের জন্য সচিত্র পরিচয়পত্রের দাবি দীর্ঘদিনের। বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকজন সচিত্র পরিচয়পত্র পেলেও অধিকাংশের কাছেই তা নেই। স্বাভাবিক কারণেই মৎস্যজীবী এবং মৎস্যচাষী সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ কোনও তথ্যও নেই রাজ্য সরকারের কাছে। অথচ প্রতি বছর বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা বণ্টন করা হয় মৎস্যজীবীদের মধ্যে। সেই কারণে এবার দুয়ারে সরকার শিবিরের মাধ্যমে মৎস্যজীবীদের নিবন্ধীকরণ প্রক্রিয়া চালাবে রাজ্য। তার ভিত্তিতে প্রত্যেক মৎস্যজীবীকে একটি করে বারকোড যুক্ত পিভিসির তৈরি সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে শুধুমাত্র নিবন্ধীকৃত মৎস্যজীবী এবং মৎস্যচাষিরাই সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা পাবেন।