ঘোষণার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড নিয়ন্ত্রণে ডায়মন্ড হারবারে চালু হল হাইটেক মেগা কন্ট্রোল রুম। একেবারে একসঙ্গে ১৮৪ টা। প্রতিটি কন্ট্রোল রুমের জন্য দেওয়া হয়েছে একাধিক ফোন নম্বর। হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। সঙ্গে রয়েছে জিপিএস সিস্টেম। যাতে নির্দিষ্ট ভাবে এলাকা লোকেট করা যায়। কন্ট্রোল রুম চালুর কিছুক্ষণ পর থেকেই বেজে চলেছে সেসব ফোন।
আরও পড়ুন-বাড়ছে করোনা সংক্রমণ: রূপান্তরকামীদের সাহায্যে মন্ত্রী শশী পাঁজা
হোয়াটসঅ্যাপে আসছে মেসেজ। সেই অনুযায়ী চলছে কোভিড পরিষেবা। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ ও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন ডায়মণ্ড হারবারবাসী। উপকৃত হচ্ছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। কোভিড নিয়ন্ত্রণে ডায়মন্ড হারবার এখন মডেল। যাকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন কুণাল সরকারের মতো শহরেরর যশস্বী ডাক্তারও। কিন্তু এর সঙ্গে দরকার মানুষের সচেতনতাও।
তাঁর সংসদীয় এলাকায় কোভিড নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামেন স্বয়ং অভিষেক বন্দোপাধ্যায় নিজে। গত শনিবার আলিপুরে জেলা শাসক পি উল্গানাথন সহ দঃ২৪ পরগনার প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে কোভিড বৈঠক করেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় শুধু জেলা বা মহকুমা স্তর নয় একেবারে নীচের স্তর থেকে অর্থাৎ ব্লক স্তর থেকে ধরতে হবে। ওয়ার্ড থেকে ধরতে হবে। সেই অনুযায়ী ঐদিন থেকেই কাজে নেমে পড়েন সকলে। চল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে ডায়মন্ড হারবারের প্রতিটি ওয়ার্ড ও পঞ্চায়েত তৈরি হল একটি করে কন্ট্রোল রুম।
আরও পড়ুন-বিধাননগরে এবার নজর কাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের কনিষ্ঠতম প্রার্থী রাখাল
দেখা যাচ্ছে ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক মডেলে কমছে পজিটিভিটি রেট। ব্যাপক হারে চালু হয়েছে টেস্ট। মূলত বাজার ও মার্কেট এলাকায় গণহারে চেকিং ও ডাবল মাস্ক অভিযান চালানো হচ্ছে। ফলও মিলছে তাতে। ডায়মন্ড হারবার জুড়েই নিয়ন্ত্রণে আসছে কোভিড। যেমন ৪৩ বছরের মান্নান শেখ মাস্ক ছাড়াই বাইরে বেরিয়ে ছিলেন। চেকিং এ ধরা পড়েন। টেস্ট করে দেখা যায় তিনি পজিটিভ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আমতলা গ্রামীন হাসপাতালে। এটা উদাহরণ মাত্র। এভাবেই কড়া নজরদারি চলছে গোটা এলাকা জুড়ে।
আরও পড়ুন-কুণাল সরকারকে টুইটে ধন্যবাদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের, কোভিডের বিরুদ্ধে একযোগে লড়াইয়ের বার্তা
অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে চালু হচ্ছে ডক্টরস অন হুইল। শুধু ডায়মন্ড হারবার নয় দঃ২৪ পরগনার ব্লকে ব্লকে ঘুরবে ডাক্তারদের একটি দল। জনস্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অনিবার্ণ দলুইয়ের নেতৃত্বে ডাক্তারদের এই দলটি ১১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ঘুরবে। বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছবে। অনেকটা দুয়ারে ডাক্তারের মতো। অসুস্থ মানুষ জনকে গায়ে জ্বর নিয়ে কষ্ট করে ডাক্তারের খোঁজে বেরোতে হবে না।
আলিপুরের বৈঠক থেকেই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ডায়মন্ড হারবারে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোনও ধর্মীয় বা রাজনৈতিক সমাবেশ হবে না। মানুষের জীবন আগে। এখন রাজনীতি নয়, জীবন এবং সমাজকে বাঁচাতে হবে। রাজ্যে কোভিড নিয়ন্ত্রণে ডায়মন্ড হারবার এখন মডেল।