সংবাদদাতা, বারুইপুর: দক্ষিণ শহরতলির বারুইপুরের (Baruipur Murder Case) মল্লিকপুরে পুকুর থেকে প্রাক্তন নৌসেনা উজ্জ্বল চক্রবর্তীর দেহাংশ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। শনিবার সন্ধ্যায় এই খুনের ঘটনার নিহতের নৌসেনার ছেলে জয় চক্রবর্তী ও শ্যামলী চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত ১৪ নভেম্বর মত্ত নৌসেনার (Baruipur Murder Case) সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে ছেলে ও স্ত্রী। ছেলে একটি পলিটেকনিক কলেজে পড়াশোনা করছে। সেই কলেজের ফিস চাওয়া নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে তুমুল বচসা হয়। এর মধ্যে ছেলে বাবাকে মারধর শুরু করে। নেশাগ্রস্ত থাকায় একসময় নেতিয়ে পড়ে উজ্জ্বল। পরে শ্বাসরোধ করে খুন করে ছেলে। খুনের পর মাকে জানায় পুরো ঘটনা। পরে দেহ লোপাটের সিদ্ধান্ত নেয় মা-ছেলে। বাড়িতে থাকা একটি করাত দিয়ে প্রাক্তন নৌসেনার দেহ পাঁচ টুকরো করে। পরে সেগুলি বিভিন্ন ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়। শরীরের মুখ ও ধড়ের অংশটা বস্তায় পুরে পুকুরে ফেলে দেয়। পরদিন আবার পরিবারের পক্ষ থেকে বারুইপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে কিছুটা বিভ্রান্ত ছিল। পরে ছেলেকে ডেকে জেরার পর আসল সত্যটা ফাঁস হয়ে যায়। ছেলে জয় পলিটেকনিকের ছাত্র হওয়ায় দেহ কাটতে করাতের ব্যবহার করে। এবং খুব নিখুঁতভাবে দেহটিকে টুকরো টুকরো করে। কিন্তু এই নৃশংস ঘটনায় আপাত-নিরীহ জয় কীভাবে করল তা নিয়ে তাজ্জব প্রতিবেশীরা। এই পরিবারটি একটি আবাসনে থাকে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব বেশি মেলামেশা করত না বলেও জানা গেছে। ধৃতদের রবিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করবে পুলিশ।
আরও পড়ুন-বিদ্যালয়ে গিয়ে ক্লাস নিলেন বিডিও