ফের বিতর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির দ্বিতীয় বর্ষের এক দৃষ্টিহীন ছাত্রীর ১৮ জনুয়ারি অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। জলপাইগুড়ির মালবাজারে দাদুর বাড়িতে মৃত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র ছাত্র এবং এক গবেষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। মৃত ছাত্রীর নাম রেনেসাঁ দাস। তার পরিবার ইতিমধ্যেই দুই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে , ওই দুই ছাত্র জোর করে রেনেসাঁকে মাদকের নেশা করানোর চেষ্টা করেছিলেন। বেশ অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন রেনেসাঁ। এই ঘটনার পরেই ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পরেই মাল থানায় মৃত ছাত্রীর পরিবার অভিযোগ দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন-মাঝ সমুদ্র থেকে ২২ ভারতীয়, ১ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করল নৌসেনা
সেখানেই থেমে থাকেন নি তারা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন তারা। ছাত্রীর বাবা বিশ্বজিৎ দাস জানান, তাদের মেয়ে তাদেরকে ওই দুই সিনিয়র ছাত্রের কথা জানায়। গত কয়েক মাস ধরে মেয়ের আচরণে বেশ কিছু অসঙ্গতি লক্ষ্য করছিলেন তারা। গত বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা তাদের বেশ আতঙ্কিত করে। মেয়ে মাদকের নেশায় জড়িয়ে পড়েছে ভেবে পরিবার তাকে বাড়ি নিয়ে যান। শিলিগুড়িতে মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া হয়। পরীক্ষার সময় ছাত্রীর সঙ্গে যাদবপুরে যেতেন তার মা।
আরও পড়ুন-অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের মা
কিন্তু এত কিছুর পরেও ঠেকানো যায়নি সমস্যা। দুই ছাত্র তাকে ক্রমাগত বিরক্ত করছিল। গত ১৬ জানুয়ারি রেনেসাঁ দাদুর বাড়িতে থাকতে চেয়েছিলেন। মৃত্যুর আগেও এক অভিযুক্ত তাকে ফোন করেছিলেন। গোটা রাজ্যে দৃষ্টিহীনদের মধ্যে উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম হয়েছিলেন রেনেসাঁ। তারপরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। দৃষ্টিহীন ছাত্রীদের হস্টেলে তিনি থাকতেন। গত ২৫ তারিখ দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে মালবাজার থানা এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তার বাবা। পুলিশের তরফে খবর, তারা এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে দিয়েছে।