প্রতিবেদন : কাশ্মীরে (Kashmir) ধৃত জঙ্গিরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির সদস্য! চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল। এই জঙ্গি বাহিনীর হাতেই শহিদ হয়েছেন একাধিক সেনা জওয়ান। কেন্দ্রের শাসক দলের সঙ্গে জঙ্গিদের সংশ্রবের অভিযোগে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছে বিরোধীরা।
গত দুদিন ধরে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে উত্তাল কাশ্মীর উপত্যকা। সেনা অভিযানে দুই লস্কর জঙ্গির পাশাপাশি শহিদ হয়েছেন ৫ সেনা- জওয়ান। এরইমাঝে উপত্যকায় গ্রেফতার আরও দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি। চাঞ্চল্যকর বিষয় হয়, গ্রেফতার দুই জঙ্গিই বিজেপির সক্রিয় সদস্য। এই দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি তথা বিজেপি সদস্যের নাম মুমতাজ আহমেদ লোন এবং জাহাঙ্গির আহমেদ লোন।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, উত্তর কাশ্মীরের (Kashmir) কুপওয়ারার ত্রেহগাম এলাকার বাসিন্দা মুমতাজ ও জাহাঙ্গির। ত্রেহগামের বিজেপি সভাপতি মুমতাজ। সেখানে মহিলা মোর্চার সভাপতির পদে রয়েছে জাহাঙ্গির। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত ২১ নভেম্বর দক্ষিণ কাশ্মীরে যাওয়ার পথে জাতীয় সড়কে নাকা তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। সেই সময় একটি গাড়ি থেকে প্রচুর অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। পুলিশ সূত্রের খবর, দক্ষিণ কাশ্মীরে হামলা চালানোর ছক কষেছিল ওরা। দলের কর্মীই সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে গ্রেফতার হয়েছেন, এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর বিজেপি মুখপাত্র সাজিদ বলেন, বিষয়টি খুবই উদ্বেগের। দলের তরফে সবটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও এই ঘটনা এই প্রথমবার নয়, গত বছর জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিজেপির সংখ্যালঘু শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত তালিব হুসেন শাহকে গ্রেফতার করা হয়। তালিবের লস্কর যোগ পাওয়ার পরে বিজেপি জানিয়েছিল, কেন্দ্রের শাসক দলে যোগ দিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে মেশার চেষ্টা করছে জঙ্গিরা। মুমতাজ ও জাহাঙ্গিরের গ্রেফতারির পর ফের সেই দাবি করেছে তারা। তবে বার বার উপত্যকায় বিজেপি নেতা-নেত্রীদের জঙ্গি যোগের ঘটনায় মুখ পুড়েছে মোদির দলের।
আরও পড়ুন- এখনই মৃত্যুদণ্ড নয় ৮ প্রাক্তন নৌসেনার, ভারতের আর্জিতে সাড়া কাতারের