প্রতিবেদন : ভয়াবহ বিস্ফোরণ কাবুলের এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ২০ জন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি। শুক্রবার সকালে এই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটে।
পশ্চিম কাবুলের দস্ত–ই–বারচি এলাকায় কজ এডুকেশন সেন্টার নামে এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই বিস্ফোরণ হয়েছে। ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মূলত সংখ্যালঘু হাজারা ও শিয়া সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য একটি মক টেস্ট দিচ্ছিলেন। ঠিক তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। প্রবল বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই ১৯ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন বেশ কিছু পড়ুয়া। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কিছুক্ষণের মধ্যেই আরও একজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি।
আরও পড়ুন-মৃৎশিল্পের স্কুল চালাচ্ছেন কুমোরটুলির মালা পাল
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরণ পরবর্তী যে সমস্ত ছবি সামনে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে রক্তাক্ত দেহ। একের পর এক অ্যাম্বুল্যান্স আহতদের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পথে ছুটে যাচ্ছে। পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান জানিয়েছেন, ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পড়ুয়ারা। সেই সময়ই ঘটে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। ঘটনায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অনেকেই গুরুতর জখম হয়েছেন।
আরও পড়ুন-বোধন কথা
তালিবান প্রশাসন জানিয়েছে, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপত্তারক্ষীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের মুখপাত্র আবদুল নাফি টেকর ঘটনার পরই ট্যুইট করেন, নিরাপত্তারক্ষীরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। সাধারণ মানুষের উপর হামলা প্রমাণ করে শত্রুদের নৃশংসতা ও অমানবিকতা। তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পরেই সে দেশের রাজধানী কাবুল-সহ বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার ফের হাজারা সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটল। তালিবান বিরোধী আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী প্রায়শই হাজারা সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালায়।