প্রতিবেদন : উত্তরপ্রদেশের কবি মধুমিতা শুক্লার হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী অমরমণি ত্রিপাঠী এবং তাঁর স্ত্রী মধুমণি ত্রিপাঠী কুড়ি বছর জেলে সাজা ভোগ করার পর মুক্তি পেতে চলেছেন। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের কারাবিভাগ অমরমণি ত্রিপাঠীর আগাম মুক্তির আদেশ জারি করে। পাশাপাশি শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী অমরমণি ত্রিপাঠী এবং তাঁর স্ত্রী মধুমণির মুক্তি স্থগিত করার আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় তাঁদের মুক্তির ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না। কবি মধুমিতা শুক্লা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন ত্রিপাঠী দম্পতি।
আরও পড়ুন-আজ সামনে কালীঘাট, লিগে সুপার সিক্সে চোখ মহামেডানের
২০ বছর পর উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেলের অনুমতিতে প্রাক্তন মন্ত্রীকে মুক্তির নির্দেশ দেয় রাজ্যের কারা দফতর। এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন নিহত কবি মধুমিতার বোন। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাক্তন মন্ত্রী এবং তাঁর স্ত্রীর মুক্তিতে স্থগিতাদেশ দেয়নি।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে মুসলিম শিশুকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অপমান, ভাইরাল ভিডিও, নিন্দায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির চারবারের বিধায়ক ও মন্ত্রী অমরমণি ত্রিপাঠী এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সেই সময়ের জনপ্রিয় কবি মধুমিতা শুক্লাকে খুনের অভিযোগ ওঠে। এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে সেই সময় উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়। শোনা গিয়েছিল, মধুমিতা ও অমরমণির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। খুনের সময় মধুমিতা কয়েক মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। জানা যায়, তদন্তের সময় গর্ভস্থ ভ্রূণের ডিএনএ পরীক্ষাসূত্রে মন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক প্রমাণ হয়। ২০ বছর ত্রিপাঠী দম্পতি জেলে কাটানোর পর তাঁদের বয়স এবং ভাল আচরণের উল্লেখ করে মুক্তি দেওয়া হল। বর্তমানে অমরমণির বয়স ৬৬ এবং তাঁর স্ত্রী মধুমণির বয়স ৬১।