ভয়ঙ্কর দৃশ্য আটলান্টিক মহাসাগরে (Atlantic Ocean)। ১০দিনে কয়েক হাজার পেঙ্গুইন মারা গিয়েছে। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে এত পেঙ্গুইনের? পেঙ্গুইনদের মৃতদেহ পরীক্ষা করতে গিয়ে রীতিমতো চমকে উঠেছেন গবেষকরা। প্রাণীবিদদের প্রাথমিক অনুমান, অনাহারে আর দুর্বলতাই নাকি পেঙ্গুইনদের (Penguins death) মৃত্যুর কারণ।
একের পর এক পেঙ্গুইনের (Penguins death) দেহ ভেসে আসছে উরুগুয়ের (Uruguay Coast) পূর্ব উপকূলে। মৃত পেঙ্গুইন্দের মধ্যে শাবকও রয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে পেঙ্গুইনদের মৃত্যু হয়। তবে এ ক্ষেত্রে তেমনটা নয় বলেই গবেষকরা জানাচ্ছেন। উরুগুয়ের পরিবেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বহু পেঙ্গুইনের শরীরেই কোনও খাবার পাওয়া যায়নি। পেঙ্গুইনদের মৃতদেহ পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে তাদের কোনও অসুখের কারণে মৃত্যু হয়নি। বরং অনাহারই মৃত্যুর আসল কারণ। দিনের পর দিন না খেতে পেয়ে মৃত্যু হয়েছে হাজার হাজার পেঙ্গুইনের। এখন সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গি, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৬
ম্যাগেলানিক প্রজাতির পেঙ্গুইনদেরই মৃত্যু হচ্ছে তার মধ্যে ৯০ শতাংশই অল্পবয়সি ও শিশু। ম্যাগেলানিক প্রজাতির পেঙ্গুইনরা থাকে দক্ষিণ আর্জেন্টিনায়। প্রতি বছর খাবার ও গরম আবহাওয়ার খোঁজে তারা ব্রাজিলের উপকূলে আসে। এক বিশেষজ্ঞ আজনিয়েছেন, এই সময় কিছু পেঙ্গুইনের মৃত্যু হয়ে থাকে ঠিকই, তবে এত বেশি সংখ্যায় মৃত্যুটা একেবারেই স্বাভাবিক নয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বা আইপিসিসি রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, পৃথিবীর তাপমাত্রা বদলাবে। আরও ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বাড়তে পারে পৃথিবীর তাপমাত্রা। তাপমাত্রার বদল হলে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রেও এর প্রভাব পড়বে। ফলে জলের উষ্ণতা বাড়বে। সামুদ্রিক প্রাণীজগত ক্ষতিগ্রস্থ হবে। একাধিক প্রজাতির মাছের আকার ছোট হবে। অস্তিত্বও লোপ পাবে বহু প্রজাতির। আচমকাই জলবায়ু পরিবর্তন এবং দূষণের কারণে জলের অক্সিজেনও কমছে। এই কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সামুদ্রিক প্রাণীরাও।