বন্দুকবাজ কিশোরের হানায় টেক্সাসে হত পড়ুয়া-সহ ২১

ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ২১ জন। মৃতদের মধ্যে ১৯ জনের বয়স ৭ থেকে বারো। তারা সবাই দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া।

Must read

প্রতিবেদন : বয়স মাত্র ১৮। মেক্সিকো সীমান্তের কাছেই ছোট্ট মার্কিন শহর ইউভালদের বাসিন্দা সালভাদোর রামোস। গড়পড়তা সদ্যতরুণদের মতোই তার চালচলন। কেউ ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি যে, তারই বন্দুকের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যাবে ১৯ খুদে পড়ুয়া। তাদের বাঁচাতে গিয়ে মারা যাবেন এক শিক্ষিকা। টেক্সাসের একটি প্রাথমিক স্কুলে রক্তের বন্যা বইয়ে রামোস নিজেও মারা গিয়েছে পুলিশের গুলিতে। তদন্তে জানা যাচ্ছে, স্কুলে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি ছোঁড়ার আগেই সে নিজের ঠাকুমাকেও ঘায়েল করে এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, টেক্সাসের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার একটি হ্যান্ডগান এবং রাইফেল নিয়ে স্কুলে ঢুকে পড়ে রামোস।

আরও পড়ুন-ওড়িশায় বাস দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর শোকপ্রকাশ

ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ২১ জন। মৃতদের মধ্যে ১৯ জনের বয়স ৭ থেকে বারো। তারা সবাই দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া। আহত বহু। টেক্সাস প্রশাসনের আশঙ্কা, নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। টেক্সাসের জনসুরক্ষা বিভাগের প্রধান এরিক এসট্রাডা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রব এলিমেন্টারি স্কুলে হামলা চালানোর আগে রামোস নিজের ঠাকুমার উপরই হামলা চালায়। ঠাকুমার বাড়িতে গিয়ে সে মঙ্গলবার সকালেই হাজির হয়ে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। গুরুতর আহত বৃদ্ধাকে এয়ারলিফ্ট করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানতে পেরেছে, রামোস ঠাকুমাকে গুলি করার পর বুলেটপুফ্র জ্যাকেট ও রাইফেল নিয়ে একটি গাড়িতে চেপে পালিয়ে যায়। রব এলিমেন্টারি স্কুলের কাছে একটি ফাঁকা জায়গায় গাড়িটিকে রেখে স্কুলে ঢুকে পড়ে।

আরও পড়ুন-আদালত ও পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণে খারিজ দাবি, কুতুব মিনারে ধাক্কা খেল গেরুয়া ব্রিগেড

ইউভালদের পুলিশকর্তা পিট আরেদোন্দো জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ প্রথম গুলির আওয়াজ শোনা যায়। মারাত্মক এই ঘটনার পর ফের আমেরিকায় আগ্নেয়াস্ত্রের উপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কারণ, এদিনের হামলার মাত্র ১০ দিন আগেই নিউ ইয়র্কের বাফেলোর একটি সুপারমার্কেটে বন্দুকবাজের হামলায় ১০ জন নিহত হন। সেই হামলাকারীরও বয়স ছিল ১৮ বছর। আমেরিকায় স্কুলে এর আগেও হামলা হয়েছে। ২০১২ সালে কানেকটিকাটে একটি স্কুলে হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় ২০ শিশু-সহ ২৬ জন মারা যান। ২০১৮ সালে ফ্লোরিডার একটি স্কুলে হামলার ঘটনা ঘটে। নিহতের সংখ্যা ছিল ১৮। মঙ্গলবারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। নিহতদের প্রতি শোকজ্ঞাপন ও স্বজনহারা পরিবারগুলির প্রতি সহমর্মিতা দেখাতে ২৮ মে পর্যন্ত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

Latest article